পশ্চিম বর্ধমানের কুলটিতে হয় শ্বেতকালীর পুজো
পুরাণ মতে দেবী কালী হলেন মহামায়ার কালিকা শক্তিরূপ। অসুরদের অত্যাচারে ও মানব সমাজের কান্না হাহাকার দেখে মহামায়া ভয়ংকর ক্রোধ ধারণ করেন। সেই সময় তার শরীর থেকে তীব্র জ্যোতি বের হতে থাকে তখনই কালো রূপ ধারণ করেন মহামায়া। মায়ের এই শ্যামা রূপই পূজিতা হন সর্বত্র।
কোথাও মায়ের রং কালো কোথাও কৃষ্ণবর্ণ অর্থাৎ নীল। কিন্তু পশ্চিম বর্ধমানের কুলটিতে পুজো হয় শ্বেতবর্ণা কালীর। পুজোর প্রতিষ্ঠাতা এবং পূজারী মধুময় ঘোষ। মধুময় ঘোষ বলেন, “আমি স্বপ্নাদেশ পেয়ে এরূপে কালীপুজো শুরু করেছি। আগে কালী পুজো করতাম। ২০০৫ সাল থেকেই প্রথম শুরু হয় শ্বেতশুভ্র রূপে কালীপুজোর। এইরূপে ভবতারিণী প্রথম দর্শন দিয়েছিলেন সাধক রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবকে। আমিও স্বপ্নাদেশ পেয়ে পুজো শুরু করেছি। তবে কালীর এমন সাদা রূপের আরাধনা, সচরাচর দেখতে পাওয়া যায় না।”