অভয়ার বিচার চাওয়া প্রতিবাদীর অ্যাকাউন্টে ১.৭ কোটি, ঠিকানা আর জি কর হস্টেল
কিছু বাম এবং অতি বাম সংগঠনের লোকজন প্ররোচনা দিয়ে জুনিয়র চিকিৎসকদের আবেগকে বিপথে পরিচালিত করে নিজেদের রাজনৈতিক ফায়দা মেটানোর চেষ্টা করছে বলে শুক্রবারও অভিযোগ করেছে তৃণমূল। এরই মধ্যে সামনে এল জুনিয়র ডাক্তারদের তরফে গঠিত স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার (এনজিও) ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের মোট অর্থের পরিমাণ।রক্তদান শিবির, বিনামূল্যে স্বাস্থ্য ও চক্ষু পরীক্ষার মতো ‘সেবাধর্মে’র উল্লেখ করে বানানো জুনিয়র ডাক্তারদের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার (এনজিও) ট্রাস্ট টাকা তুলছে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে।
১০ দফা দাবির মধ্যে সাতদফা নবান্ন মেনে নিলেও, সে সব ‘সেবাধর্ম’ শিকেয় তুলে দাবি আদায়ে চলছে লাগাতার অনশন এবং মঙ্গলবার থেকে ফের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা অচল করার জন্য ধর্মঘটের হুমকি। ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্ট গত ১৩ সেপ্টেম্বর রেজিস্টার অব অ্যাসিওরেন্সের দপ্তরে যে এনজিও’র রেজিস্ট্রেশন করিয়েছে, তার নামে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে। বেসরকারি ব্যাঙ্ক এইচডিএফসি’র কলকাতা হাইকোর্ট শাখায় যে অ্যাকাউন্টটি (নম্বর-××××××××××৩২৫১) খোলা হয়েছে, সেখানে গত ১৬ অক্টোবরের ব্যালেন্স ১ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা! জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি, আন্দোলনের জন্য খরচ করা হচ্ছে এই টাকা।তবে গোটা ঘটনার নেপথ্যে বৃহত্তর ষড়যন্ত্র দেখছে শাসকদল। এমনকী ট্রাস্টের ঠিকানা হিসেবে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের কেবি হস্টেলের ৩২ নম্বর রুমের উল্লেখ নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে তৃণমূলের।
তৃণমূলের অভিযোগ, ন্যায়বিচারের আন্দোলনের নামে রাজ্যে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা বিঘ্নিত করে সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে চাওয়া লালপার্টির কিছু ‘মাতব্বর’, কয়েকজন স্বাস্থ্য ব্যবসায়ী এবং অতিবাম বিপ্লবী তো বটেই, সঙ্গে হঠাৎ করে গজিয়ে ওঠা কিছু ‘সমাজ সংস্কারক’ এই অ্যাকাউন্টে নিয়মিত টাকা পাঠাচ্ছেন। রাজ্য সরকার যতই সহনশীলতা দেখাক না কেন, আন্দোলন থেকে জুনিয়র ডাক্তাররা যাতে কোনওমতেই সরে না আসেন, তার জন্য নিয়মিত উস্কানি দিয়ে চলেছে এই অংশটাই।ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য ব্যবহৃত ঠিকানা নিয়ে সবচেয়ে বেশি বিতর্ক দেখা দিয়েছে। কারণ সেটি হল আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ছাত্রাবাস কেবি হস্টেলের ৩২ নম্বর রুম। সরকারি ছাত্রাবাসের ঠিকানা কেন? সরকারের অনুমোদন ছাড়া সরকারি সম্পত্তিকে কি কোনও ট্রাস্টের সম্পত্তি হিসেবে ব্যবহার করা যায়?