বাংলা বিভাগে ফিরে যান

দশমীর দিনে কেন ওড়ানো হতো নীলকণ্ঠ পাখি?

অক্টোবর 8, 2024 | < 1 min read

আজ বিজয়া দশমী। মায়ের কৈলাস ফিরে যাওয়ার দিন। এদিনটায় প্রত্যেক বাঙালির মন থাকে ভারাক্রান্ত। আবার অপেক্ষা গোটা একটা বছরের। এবছরের মতো শেষবার মায়ের কাছে আশীর্বাদ চেয়ে নেওয়া থেকে শুরু করে আগামী বছরের প্রতীক্ষার কাউন্টডাউন, সবকিছু নিয়েই আজকের বিজয় দশমী। দশমীর নানা রীতি রেওয়াজের মধ্যে আগেকার দিনে কোথাও কোথাও ছিল নীলকণ্ঠ পাখি ওড়ানোর প্রথা। আসলে নীলকণ্ঠ হল শিবের আরেক নাম।

সমুদ্র মন্থনের পর ওঠা কালকূট বিষের প্রভাবে আচ্ছন্ন হয়ে পড়া সৃষ্টিকে রক্ষা করতে সেই ভয়ানক বিষ নিজের কণ্ঠে ধারণ করেন মহাদেব। তখন বিষের জ্বালায় তাঁর গলা নীলবর্ণ ধারণ করে। সেই কারণে মহাদেবের আরেক নাম নীলকণ্ঠ। আবার নীলকণ্ঠ পাখির গায়ের রং যেহেতু নীল, তাই এই পাখিকে শিবের দোসর বলে মনে করা হয় হিন্দু ধর্মে।

দশমীতে দুর্গা প্রতিমার ভাসানের আগে নীলকণ্ঠ পাখি ওড়ানোর প্রথা চালু হওয়ার পেছনে এই বিশ্বাস কাজ করে যে নীলকণ্ঠ পাখি আগে কৈলাসে গিয়ে মহাদেবকে পার্বতীর আগমন বার্তা দেবে। নীলকণ্ঠ পাখিকে মহাদেবের দূত বলে মনে করা হয়। তবে নীলকন্ঠ পাখির সংখ্যা অত্যন্ত কমে যাওয়ায় সরকারিভাবে এই পাখি কেনাবেচা বন্ধ। কিন্তু এখনো অনেক জায়গায় বেআইনিভাবে এই নীলকন্ঠ পাখি ওড়ানোর প্রথা রয়েছে।

FacebookWhatsAppEmailShare

আরো দেখুন

দশমীর দিন শুক্ত, মাছ, ভাত খাইয়ে মা দুর্গাকে বরণ করা হয় রানাঘাটের ঘোষবাড়িতে
FacebookWhatsAppEmailShare
নবমীর রাতে আগমনী শুনিয়ে দেবী দুর্গাকে জাগিয়ে রাখতে হয়
FacebookWhatsAppEmailShare
ধেনুয়া গ্রামে এক দিনেই শেষ দুর্গাপুজো! বোধনের দিনেই বিসর্জন
FacebookWhatsAppEmailShare