দেশ বিভাগে ফিরে যান

বৈবাহিক ধর্ষণকে অপরাধের আওতায় আনার প্রয়োজন নেই, সুপ্রিম কোর্টে বলল নরেন্দ্র মোদির সরকার

অক্টোবর 4, 2024 | < 1 min read

‘বৈবাহিক ধর্ষণ’-কে অপরাধের আওতায় আনার প্রয়োজন নেই, বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে অবস্থান স্পষ্ট করল কেন্দ্র। কেন্দ্রের দাবি, এই ধরনের অপরাধের ক্ষেত্রে ‘উপযুক্ত পরিকল্পিত শাস্তিমূলক ব্যবস্থা’ রয়েছে। স্ত্রীর সম্মতি বা অসম্মতিকে অগ্রাহ্য করার অধিকার পুরুষের নেই, হলফনামায় জানিয়েছে কেন্দ্র। সেখানে সংযোজন, ‘তবে তা ধর্ষণ বলা কঠোর ও অসম হবে।’কেন্দ্রের তরফে স্পষ্ট জানানো হল, ‘ম্যারাইটাল রেপ’ বা বৈবাহিক ধর্ষণকে অপরাধ বলে গণ্য করার প্রয়োজন নেই।বর্তমানে ধর্ষণ-বিরোধী যে আইন আছে, সেটাই যথেষ্ট বলে মনে করছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। সেই আইনে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম রয়েছে। কেন্দ্র হলফনামায় উল্লেখ করেছে, এই বিষয়টা আইনি ইস্যুর থেকেও বেশি সামাজিক।

সমাজে এর সরাসরি প্রভাব রয়েছে। তাই বৈবাহিক ধর্ষণকে যদিন অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করতেও হয়, সুপ্রিম কোর্টের সেটা করা ঠিক নয় বলেই মনে করছে কেন্দ্র।অনেকের মতে, কেন্দ্রের হলফনামা থেকেই পরিষ্কার যে সরকার দু’দিক রক্ষা করে চলার চেষ্টা করছে। হলফনামায় বলা হয়েছে, বিয়ে করার মানেই মহিলাদের অনুমতি বা ইচ্ছার কোনও মূল্য রইল না তা নয়। তবে বিবাহ বহির্ভূত কোনও ধর্ষণের ঘটনার সঙ্গে বৈবাহিক ধর্ষণকে পৃথক ভাবে দেখা উচিত। তা ছাড়া এ প্রতিকারের কথাও আইনে রয়েছে।

ঘরোয়া হিংসা থেকে মহিলাদের রক্ষার আইন ও ফৌজদারি আইনের ৩৫৪, ৩৫৪এ, ৩৫৪বি ৪৯৮এ ধারায় কঠোর শাস্তির বিধান রয়েছে।প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং মনোজ মিশ্রকে নিয়ে গঠিত বেঞ্চে বিষয়টির দ্রুত মীমাংসা ব্যাপারে গত শুনানিতে আর্জি জানিয়েছিলেন প্রবীণ আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিং। তাঁর দাবি, এই বিষয়ে অবিলম্বে মীমাংসা হওয়া দরকার। বিচারবিভাগীয় পর্যালোচনার গুরুত্বের উপর জোর দেন তিনি। তাঁর যুক্তির জবাবে প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় স্বীকার করেন যে, এর দ্রুত নিষ্পত্তি হওয়া প্রয়োজন।

FacebookWhatsAppEmailShare

আরো দেখুন

নিশিকান্তের স্থায়ী কমিটি থেকে মহুয়াকে সরাতে চিঠি তৃণমূলের
FacebookWhatsAppEmailShare
নতুন দল গড়ে এবার রাজনীতির ময়দানে প্রশান্ত কিশোর
FacebookWhatsAppEmailShare
অলিম্পিকের সময়ে মোদির ফোন না ধরা নিয়ে বিস্ফোরক ভিনেশ
FacebookWhatsAppEmailShare