৫৭০ বছরের পুরনো কোন্নগরের ঘোষাল বাড়ির দুর্গাপুজোয় আজও আসে ব্রিটিশ অনুদান
মহালয়ার দিনে দেবী প্রতিমার চক্ষুদানের মধ্যে দিয়ে শুরু হয় ঘোষাল বাড়ির দুর্গাপুজো। হুগলি জেলার প্রাচীনতম কিছু দুর্গাপুজোগুলির মধ্যে মধ্যে অন্যতম হুগলির কোন্নগরের ঘোষাল বাড়ির দুর্গাপুজো। ৫৭০ বছরের এই দুর্গাপুজোর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে বহু প্রাচীন কাহিনি। মহালয়ার দিন সকাল থেকেই ঠাকুরদালানে শুরু হয় দুর্গা প্রতিমার চক্ষুদান পর্ব। শঙ্খ কাঁসর বাজিয়ে উলুধ্বনি দিয়ে দেবীকে বরণ করেন পরিবারের লোকজন।
তৎকালীন সময় ব্রিটিশ সরকারের থেকে বিশেষ অনুদানও আসত এই পুজো করার জন্য।আজও সেই প্রথায় ছেদ পড়েনি। যখন ব্রিটিশরা ভারতবর্ষ শাসন করতেন তারা ঘোষাল বাড়ির পুজোকে স্বীকৃতি দিতেন। তৎকালীন সময়ে ৭৫০ টাকা তারা পুজোর জন্য মঞ্জুর করেছিলেন। পুজো ও খাওয়া দাওয়া করেও সেই সময় সেই টাকা শেষ করা যেত না। উদ্বৃত্ত টাকা ফেরত যেত শ্রীরামপুরের ট্রেজারিতে। এই পুজায় বাইরের দোকানের কোন মিষ্টি ব্যবহার করা হয় না। বাড়ির মহিলারা নিজেরাই নাড়ু তৈরি করেন। সেই নাড়ু দিয়েই হয় ঠাকুরের প্রসাদ।
অষ্টমীর দিনে সন্ধ্যা প্রদীপ জালেন বাড়ির পুরুষ মানুষরা। দশমীর দিন বাড়ির এয়োস্ত্রীরা ঠাকুরকে ইলিশ মাছ দিয়ে ভোগ দেন। আগে জোড়া নৌকায় প্রতিমা চাপিয়ে মাঝগঙ্গায় নিয়ে গিয়ে বিসর্জন দেওয়া হত। একবার রাতে বিসর্জন দেওয়ার সময়ে একজনকে বাঘে টেনে নিয়ে যায়। তারপর থেকেই দিনের আলোয় বিসর্জন দেওয়া হয়।