রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি মমতার
বন্য়া পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে জেলায় জেলায় ঘুরছেন মুখ্যমন্ত্রী। এই পরিস্থিতিতে, বৃহস্পতিবার পাঁশকুড়ায় গিয়ে DVC-র সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। করেছেন চক্রান্তের অভিযোগও। আর এবার প্রধানমন্ত্রীকে ৪ পাতার চিঠি লিখলেন। রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।এদিন চার পাতার চিঠির ছত্রে ছত্রে ডিভিসির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত দু’দিন মুখ্যমন্ত্রী বন্যা দুর্গত মানুষদের পাশে দাঁড়াতে গিয়ে বারবার এই বন্যাকে ‘ম্যান মেড’ আখ্যা দিয়েছেন। এমনকি এও বলেছেন যে, আগামী দিনে তাঁরা ডিভিসি-র সঙ্গে কোনও সম্পর্ক রাখবেন কি না তা এবার ভাবার সময় এসেছে।
এরপর আজ এই চিঠির মাধ্যমে এই প্রতিষ্ঠানের উপরে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন তিনি।এই চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী উল্লেখ করেছেন, ডিভিসি-র ছাড়া জলে রাজ্যের বিপুল সংখ্যক মানুষকে চরম বিপর্যয়ের মধ্যে পড়তে হয়েছে । সবচেয়ে বড় কথা, স্মরণকালে এত বিপুল পরিমাণ জল কখনওই ছাড়েনি ডিভিসি। মমতা লিখেছেন, ২০০৯ সালের পর এই কারণেই রাজ্যে আবার বড় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে । ইতিমধ্যেই এই বন্যায় এক হাজার কিলোমিটার জমি জলের তলায়। প্রায় পাঁচ মিলিয়ন (৫০ লক্ষ) মানুষের জনজীবন বিপর্যস্ত। তাঁদের ঘরবাড়ি থেকে শুরু করে চাষের জমি, গবাদিপশু সমস্ত কিছুরই ক্ষতি হয়েছে । রাজ্য সরকার এই অবস্থায় তাঁদের সাধ্যমতো কাজ করার চেষ্টা করছে। ইতিমধ্যেই দুর্গত মানুষদের কাছে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় ত্রাণসামগ্রী ও সাহায্য পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিন মুখ্যমন্ত্রীর লেখা চিঠিতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে তাঁর দাবি মূলত দুটি ৷ প্রথমত, ডিভিসি-র হাতে থাকা বাঁধগুলিতে ড্রেজিং-য়ের জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ এবং দ্বিতীয়ত ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যানকে দ্রুত কার্যকারী করা। তিনি মনে করিয়ে দিয়েছেন, অতীতেও একাধিকবার তিনি এই একই বিষয় নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছেন। এমনকি নীতি আয়োগের বৈঠকে এই বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছেন। আর আজ যখন বাংলার লক্ষ লক্ষ মানুষ বানভাসি, তখন মুখ্যমন্ত্রী চাইছেন এই দুই পদক্ষেপে দ্রুত সক্রিয় ভূমিকা গ্রহণ করুন প্রধানমন্ত্রী।