দেশ বিভাগে ফিরে যান

‘এক দেশ এক ভোট’ এর বিরুদ্ধে ইন্ডিয়া জোট

সেপ্টেম্বর 19, 2024 | 2 min read

নরেন্দ্র মোদী সরকার ‘এক দেশ এক ভোট’ (ওয়ান নেশন ওয়ান ইলেকশন) নীতি কার্যকরের পথে আর এক ধাপ অগ্রসর হল। বুধবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে পাশ হয়েছে ‘এক দেশ এক ভোট’ নীতি কার্যকরের লক্ষ্যে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের নেতৃত্বাধীন কমিটির সুপারিশ। এর ফলে সংসদের অধিবেশনে এই নীতি কার্যকর করার লক্ষ্যে কেন্দ্র বিল পাশে সক্রিয় হবে বলে মনে করা হচ্ছে। সূত্রের খবর, ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’-র আওতায় পুরো দেশে একইসঙ্গে লোকসভা নির্বাচন এবং প্রতিটি রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন করার সুপারিশ করা হয়েছে। আর সেই নির্বাচনের ১০০ দিনের মধ্যে পুরসভা এবং পঞ্চায়েতের ভোট করার সুপারিশ করা হয়েছে রিপোর্টে।

২০১৪ সালে প্রথমবার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’-র বিষয়টি উত্থাপন করে আসছেন মোদী। গত মাসে লালকেল্লা থেকে স্বাধীনতা দিবসের ভাষণেও ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’-র পক্ষে জোরালোভাবে সওয়াল করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি জানিয়েছিলেন যে দেশে কোনও না কোনও নির্বাচন লেগেই আছে। যা দেশের অগ্রগতির ক্ষেত্রে বাধা তৈরি করছে।

‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ কার্যকর করতে গেলে সাংবিধানিক সংশোধনের প্রয়োজন। সংবিধানের ৮৩ এবং ১৭২ নম্বর অনুচ্ছেদে সংসদ এবং রাজ্য বিধানসভাগুলির মেয়াদ কতদিনের হবে, তা বলা আছে। বর্তমানে লোকসভা নির্বাচনের সঙ্গে একই সঙ্গে নির্বাচন হয় তিনটি রাজ্যের – অন্ধ্র প্রদেশ, সিকিম এবং ওড়িশা। চলতি বছরের শেষের দিকে ভোট দেবে হরিয়ানা, মহারাষ্ট্র এবং ঝাড়খণ্ডও। এই বছরই, দীর্ঘ ছয় বছর পর বিধানসভা নির্বাচন হচ্ছে জম্মু ও কাশ্মীরেও। কাজেই এই রাজ্যগুলির নির্বাচনকে লোকসভা নির্বাচনের সঙ্গে সমন্বিত করাটা খুব অসুবিধার হবে না। কিন্তু, বাকি রাজ্যগুলির ভোট লোকসভা ভোটের বছরে হয় না। সেগুলিকে এক জায়গায় আনতে গেলে হয় কোনও কোনও রাজ্যের বিধানসভার মেয়াদ কমিয়ে অথবা বাড়িয়ে দিতে হবে। ইন্ডিয়া জোটের ১৫টি দল কেন্দ্রের এই নীতির বিরোধী।


হরিয়ানার নির্বাচনী ইস্তাহার প্রকাশের অনুষ্ঠানে কংগ্রস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে বলেন, আমরা একে সমর্থন করছি না। আমাদের দেশের মতো গণতন্ত্রে এ নীতি কার্যকর হবে না। গণতন্ত্রকে বাঁচাতে যেখানে যখন প্রয়োজন, তখন নির্বাচন করতে হবে। কংগ্রেস নেতা কেসি বেণুগোপাল বলেন, এটা কোনও বাস্তবসম্মত পথ নয়। এদেশের পক্ষে উপযোগী নয়। আসলে বিজেপি চাইছে বর্তমান সমস্যা থেকে দেশের মানুষের দৃষ্টি ঘুরিয়ে রাখতে।তৃণমূলের রাজ্যসভা সদস্য ডেরেক ও’ব্রায়েন এদিন এক এক্সবার্তায় বলেন, এটা প্রধানমন্ত্রী মোদী-অমিত শাহর একটি অতুলনীয় জুমলা। একে গণতন্ত্র-বিরোধী বিজেপির অত্যন্ত সস্তা চমক বলেন ডেরেক। তিনি প্রশ্ন তোলেন, হরিয়ানা ও জম্মু-কাশ্মীরের ভোটের সঙ্গে মহারাষ্ট্রের ভোট ঘোষণা হল না কেন? তার কারণ হল, এই জুনের বাজেটে মহারাষ্ট্রের সরকার লেড়কি বহিন যোজনা ঘোষণা করেছে। কিন্তু, প্রথম কিস্তির টাকা জমা পড়েছে অগস্টে। দ্বিতীয় কিস্তির টাকা আসবে অক্টোবরে। আপনারা তিন রাজ্যের ভোট একসঙ্গে করতে পারেন না, আবার গোটা দেশের ভোট একসঙ্গে করবেন! আমাদের বলুন, রাজ্য বিধানসভার মেয়াদ বৃদ্ধি কিংবা হ্রাস করে কী করে সংবিধান সংশোধন করা যায়, প্রশ্ন ডেরেকের।

FacebookWhatsAppEmailShare

আরো দেখুন

‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগানে আপত্তি মোহন ভাগবতের
FacebookWhatsAppEmailShare
এক দশক পর জম্মু ও কাশ্মীরে নির্বাচন,প্রথম দফায় ২৪ আসনে চলছে ভোটগ্রহণ
FacebookWhatsAppEmailShare
আবারও বঙ্গে পুজো উদ্বোধনে অমিত শাহ
FacebookWhatsAppEmailShare