বাংলা বিভাগে ফিরে যান

কিসের উল্লাস চিকিৎসকদের?

সেপ্টেম্বর 17, 2024 | 2 min read

উৎসব শুরু হয়ে গেছে, না না দুর্গা পুজো নয়. উৎসব শুরু হয়েছে সল্টলেকে স্বাস্থ্য ভবনের সামনের আন্দোলন মঞ্চে। গতকাল কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে জুনিয়র ডাক্তারদের প্রায় ৪ ঘন্টার বৈঠক হয়। সেই বৈঠকের পরই উৎসবে মেতে ওঠেন আন্দোলন মঞ্চে আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকরা। কারণ, সিপি বিনীত গোয়েল ও নর্থ ডি সিপি’র অপসারণের খবর। খবর পাওয়ার পরই আনন্দে ফেটে পড়েন চিকিৎসকরা। নাচানাচি, স্লোগানিং এ মেতে ওঠে গোটা চত্বর।

গতকাল ভারতবর্ষের গণতান্ত্রিক কাঠামো এবং মানুষের মতকে সম্মান জানিয়ে জুনিয়র ডাক্তারদের প্রায় ৯০ শতাংশ দাবিই মেনে নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মধ্যরাত পর্যন্ত এরকম বৈঠক করে তাদের দাবি মেনে নেওয়ার এই চিত্র অন্য কোন রাজ্য বা বাংলা এর আগে দেখেছে বলে মনে হয় না। কিন্তু এরপরও বিধাননগরের ধর্নাস্থলে যে চিত্র দেখা গেলো, তা ভয়ঙ্কর!

কিন্তু কথা হল, এখনও বিচার হল না, we want justice – নির্যাতিতা এখনও বিচার পেলো না, কে বা করা দোষী এখনও জানা গেলো না, তাহলে কিসের এই উৎসব। কিসের এতো উল্লাস আপনাদের যখন পুরো দেশ অধীর অপেক্ষায় কবে তিলোত্তমার দোষীদের চরমতম শাস্তি হবে? তাহলে কি আর বিচার চাই না এদের? নাকি শুধু এনাদের অপসারণই ছিল এই আন্দোলনের মূল লক্ষ?

এনাদের একাংশ আবার সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হয়েছেন অশৌচ পালন নিয়ে, বক্তব্য – ‘এবার পুজোয় ছাড়া চাইতে এলে বলবেন আমাদের অশৌচ চলছে, আমরা রাষ্ট্রীয় শোক পালন করছি”. এই তাহলে অশৌচ বা শোক পালনের নমুনা? শাস্ত্রমতে অশৌচ পালনের যা যা নিয়ম সেগুলো কি তারা পালন করছেন আদৌ নাকি সোশ্যাল মিডিয়ায় ফুটেজ আর হাজার হাজার লাইক কমেন্ট পেয়ে ইনকামের একটি পথ এটা?

তাহলে বুঝে নিতে হয় যে, বিচার আপনারা কোনদিন চাননি, চেয়েছেন রাজনৈতিক আধিপত্য আর প্রচার।

এর আগে আমরা এসএসসি নিয়ে ধর্মতলায় দীর্ঘ আন্দোলন দেখেছি, অথচ সেখানে আন্দোলকারীদের কাছে খাবার তো দূর, কেউ এক বোতল জলও পৌঁছে দেয়নি। কারণ তখন আমাদের মানবিকতা, বিবেক জাগ্রত হয়নি। কোন নারকীয় ঘটনা না হয় অবধি আমাদের মানবিকতা বিবেক জাগ্রত হয় না তা বুঝলাম কিন্তু এই এতো এতো খাবার, জল, জুস, ত্রিপল, প্লাস্টিক, ফ্যান এসব আসছে কোথা থেকে? একজন করে অভিনেতা অভিনেত্রী বা অন্য কোন পাবলিক ফিগার ফেসবুকে লিখছেন এটা দরকার ওটা দরকার – এক ঘন্টার মধ্যেই সেগুলো হাজির হয়ে যাচ্ছে। কোথা থেকে আসছে, কে টাকা দিচ্ছে এসব প্রশ্ন তুললে উত্তর একটাই – “আপনি অমানবিক, এখন এসব বিচার করছেন?” ঠিক আছে, তর্কের খাতিরে সেকথা মেনে নিলাম, তবে সেইসব বিবেকবান মানুষদের কাছে প্রশ্ন থাকলো এই আন্দোলনে এই আচরণগুলো কি সংগত?

প্রথমে বিরিয়ানি পার্টি করা, তারপর ইন্দিরা জয়সিংয়ের মতো ধর্ষকবন্ধু আইনজীবীকে নিয়োগ করা। এই মাওবাদী ডাক্তাররা যদি কোনোদিন সঞ্জয় রাইয়ের শাস্তি মুকুব করার দাবিও তোলে, তাতে আশ্চর্য হওয়ার কিছু থাকবে না।

FacebookWhatsAppEmailShare

আরো দেখুন

নিম্নচাপের পরে ফের ভারী বৃষ্টি? সতর্কতা বাংলার জেলায়
FacebookWhatsAppEmailShare
কোচবিহারে নররক্তেই পুজো হয় বড়দেবীর
FacebookWhatsAppEmailShare
উৎসবের আবহে ফের করোনা-আতঙ্ক
FacebookWhatsAppEmailShare