এক দেশ, এক নির্বাচন বিল আনতে তৎপর কেন্দ্র
এনডিএ সরকারের চলতি মেয়াদকালেই ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ কার্যকর হবে, পিটিআই সূত্রে সামনে এসেছে এই খবর।ইতিমধ্যে এই বিষয়ে তৎপরতা শুরু করেছে কেন্দ্র। যদিও বিগত লোকসভা ভোটে দুর্বল হয়েছে বিজেপি। সরকারে গুরুত্ব বেড়েছে এনডিএ জোটের। তথাপি জোট শরিকদের সঙ্গে নিয়েই ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ কার্যকর হতে চলেছে বলে খবর।‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ ব্যবস্থা চালু করার বিষয়ে বিজেপি অনেকদিন ধরেই আগ্রহী। গত মাসে লালকেল্লায় স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করার সময়েও এই প্রসঙ্গ উঠে এসেছিল প্রধানমন্ত্রী মোদীর গলায়। তাঁর যুক্তি, ঘন ঘন নির্বাচন হওয়ায় দেশের উন্নয়নে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়।
‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ ব্যবস্থা চালু করার পক্ষে সওয়াল করে তিনি দাবি করেছিলেন, গোটা দেশ এই প্রক্রিয়াকে সমর্থন জানাচ্ছে। রাজনৈতিক দলগুলিকেও এটিকে সমর্থন করার জন্য আহ্বান জানিয়েছিলেন মোদী।বিরোধী দলগুলি শুরু থেকেই ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’-এর বিরোধিতা করে এসেছে।বিরোধী নেতারা অভিযোগ করেছেন, এই নীতি ঘুরপথে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ধাঁচের ব্যবস্থা চালু করতে চাইছে। যা যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো এবং সংসদীয় গণতান্ত্রের পরিপন্থী। কংগ্রেস, তৃণমূল, সিপিএম-সহ বিজেপি-বিরোধী দলগুলির আশঙ্কা, ‘এক দেশ এক নির্বাচন’ নীতি কার্যকর হলে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় সাংসদ এবং বিধায়ক নির্বাচনের ক্ষেত্রে যে বিভিন্ন ফলাফল দেখা যায়, সেই বৈচিত্র বিনষ্ট হবে।
এই সুযোগ কাজে লাগাবে বিজেপির মতো অর্থনৈতিক ভাবে প্রবল শক্তিশালী দল। ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ ব্যবস্থা চালু করা কতটা বাস্তবসম্মত, তা খতিয়ে দেখতে একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছিল। কমিটির নেতৃত্বে ছিলেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। গত মার্চেই সেই কমিটি রাষ্ট্রপতি ভবনে গিয়ে দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে একটি রিপোর্ট জমা দিয়েছে। কোবিন্দের নেতৃত্বাধীন কমিটিও এই প্রক্রিয়ার পক্ষেই মত দিয়েছে বলে সূত্রের দাবি।