মধ্যপ্রদেশে সেনা অফিসারের বন্ধুকে গণধর্ষণ, আবার রাত দখল হবে তো দেশে?
বুধবার গভীর রাতে ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছে মধ্যপ্রদেশে। রাজ্যের বাণিজ্য শহর ইন্দোরের ৩৫ কিলোমিটার দূরে জামে গেট নামে জায়গায় সেনাবাহিনীর একটি গাড়ি দাঁড় করিয়ে কয়েকজন মহিলাকে গণধর্ষণ করে দুষ্কৃতীরা। ওই এলাকায় সেনাবাহিনীর বড় ব্যারাক রয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, মঙ্গলবার মধ্যপ্রদেশের ইন্দোর জেলার জাম গেটের কাছে ঘটনাটি ঘটে। ওই অফিসাররা মাউ আর্মি কলেজে প্রশিক্ষণ নিচ্ছিলেন। এদিন দুপুরে ইন্দোরের ছোটি জামের ফায়ারিং রেঞ্জের কাছে বান্ধবীদের সঙ্গে দেখা করেন তাঁরা। সকলে মিলে গল্প করছিলেন। কিন্তু হঠাৎই সাত-আট জন মিলে তাঁদের উপর চড়াও হয়। তাদের হাতে পিস্তল ছিল।
এর পরই দুষ্কৃতীরা ওই দুই সেনা অফিসারকে মারধর শুরু করে। নিগ্রহের শিকার হন তাঁদের সঙ্গে বান্ধবীরাও। সকলের কাছে টাকাপয়সা যা কিছু ছিল তা সবই লুঠ করে নেওয়া হয়। দুষ্কৃতীরা মারধর করে কাবু করার পর বান্ধবীদের গণধর্ষণ করে। এক সেনা অফিসার কোনওরকমে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে ঘটনার কথা জানাতে সক্ষম হলে পুলিশ খবর পায়।পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, আক্রান্ত চারজনকেই বুধবার সকাল সাড়ে ছ’টা নাগাদ মহু সিভিল হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেখানেই তাঁদের প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়।পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই ভারতীয় ন্যায় সংহিতা অনুসারে, লুটপাট, ডাকাতি ও ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এছাড়া, অস্ত্র আইনের আওতাতেও বেশ কিছু ধারা যোগ করা হয়েছে।
এখন প্রশ্ন উঠছে, যদি সেনার সদস্যদের সঙ্গেই এমন ঘটনা ঘটে, তাহলে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কে নিশ্চিত করবে? উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, বিজেপি শাসিত মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদব গত সপ্তাহেই ভোপালে সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে তাঁর সময়ে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির প্রভূত উন্নতি হয়েছে বলে দাবি করেছিলেন।