স্বাস্থ্যবিমায় জিএসটিতে ছাড়ের সিদ্ধান্ত পরবর্তী বৈঠকে গৃহীত হবে
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী-সহ বিরোধী শিবিরের অভিযোগ, চড়া কর প্রিমিয়ামের খরচ বাড়ানোয় বহু মানুষ বিপাকে পড়ছেন। বঞ্চিত হচ্ছেন বিমার সুরক্ষা থেকে। করে সুরাহার সওয়াল করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিতিন গডকড়ীও। সোমবার ছিল জিএসটি কাউন্সিলের ৫৪তম বৈঠক, বৈঠকের সভাপতিত্ব করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন।
দিল্লির সুষমা স্বরাজ ভবনে সকাল ১১টা থেকে বৈঠক শুরু হয়। বৈঠকের পর সাংবাদিক বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্তের কথা জানান অর্থমন্ত্রী। কী কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে? সূত্রের খবর, জিএসটির বোঝা কমানোর ক্ষেত্রে একমত হয়েছেন সকলেই। কিন্তু তা পুরোপুরি তুলে নেওয়া হবে নাকি তার হার কমানো হবে, সে ব্যাপারে দ্বিমত রয়েছে। শুধু প্রবীণ নাগরিকদের বিমায় জিএসটি ছাড়ের মতো বিকল্প ভাবনাও রয়েছে একাংশের।
স্বাস্থ্যবিমার উপর জিএসটি-র হার কমানোর বিষয়ে একটি নতুন জিওএম গঠন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, অক্টোবরের শেষে সেই রিপোর্ট জমা দিতে হবে। ওই মন্ত্রিগোষ্ঠীর মধ্যে থাকবেন রাজ্যের অর্থ দফতরের ভারপ্রাপ্ত স্বাধীন প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। এক মাসের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে হবে তাদের। নভেম্বরে হবে জিএসটি পরিষদের পরবর্তী বৈঠক। সেই সময় বিমার প্রিমিয়ামে কর-সুরাহার সিদ্ধান্ত হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল বলেই মনে করা হচ্ছে। পরবর্তী বৈঠকে যদি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় তাহলে তা দেশের মধ্যবিত্ত শ্রেণির কাছে এক বিরাট স্বস্তির বিষয় হবে। কারণ প্রিমিয়ামের সঙ্গে দেয় মোট অর্থের পরিমাণ অনেকটা লাঘব হবে।
জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকের পরে, অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেছেন, “স্বাস্থ্য বীমার উপর জিএসটির বিষয়টি আমি উত্থাপিত করেছিলাম। আমি বলেছিলাম যে সম্পূর্ণ ছাড় দেওয়া উচিত। গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী আমাকে সমর্থন করেছেন। অনেক মন্ত্রীদের মতামত ছিল যে এটি কমাতে হবে। তারা ১৮% থেকে কমিয়ে ৫% এ ছাড় দেবে কি না, তা নিয়ে জিওএম গঠন করা হয়েছে। গত অক্টোবরের মধ্যে রিপোর্ট দেওয়ার পরে পরবর্তী বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”চলতি আর্থিক বছরে স্বাস্থ্য বিমা ও জীবনবিমায় কেন্দ্র ও রাজ্য ৮২৬২.৯৪ কোটি এবং ১৪৮৪.৩৬ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছে। স্বাস্থ্য এবং জীবন বিমাকে জিএসটির আওতা থেকে বাদ দেওয়া হলে তার প্রভাব কর আদায়ের উপর কী হবে, সেই বিষয়ে একটি রিপোর্ট জমা দিয়েছে ফিটমেন্ট কমিটি। যেটি রাজ্য এবং কেন্দ্রের বিভিন্ন কর আধিকারিকদের নিয়ে তৈরি।