মঙ্গলবার বিকেল ৫টার মধ্যে কাজে যোগ দিতেই হবে জুনিয়র ডাক্তারদের, নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের
গত ৯ অগস্ট আর জি করের মহিলা চিকিৎসকের মৃত্যুর পর থেকেই আন্দোলন শুরু করেছেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। বিচারের দাবিতে প্রায় রোজি রাজপথের বিভিন্ন অংশ চলছে বিক্ষোভ। সরকারের তরফে বারবার আবেদন জানানো সত্ত্বেও জুনিয়র ডাক্তারেরা কাজে ফেরেননি। আজ সুপ্রিম করতে শুরু হয়েছে সেই মামলার শুনানি। শুনানিতে আন্দোলনরত চিকিৎসকদের অবিলম্বে কাজে যোগ দেওয়ার কথা বলল শীর্ষ আদালত।
প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ কাজে যোগ দেওয়ার সময়ও বেঁধে দিয়েছে।
আন্দোলন নিয়ে কি বললেন সি জে আই:
জুনিয়র ডাক্তারদের কাল বিকেল ৫টার মধ্যে কাজে ফেরার নির্দেশ
তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ হবে না, রাজ্য ও কোন পদক্ষেপ নেবে না।
দায়িত্ব এড়িয়ে কোন আন্দোলন বরদাস্ত নয়।
কাজে যোগ না দিলে রাজ্যকে দোষারোপ করা যাবে না।
‘এরপরেও যদি কোনও চিকিৎসক কাজে যোগ না দেন, তবে তাঁর বিরুদ্ধে রাজ্য কোনও পদক্ষেপ করলে আমরা বাধা দিতে পারব না।
উল্লেখ্য, স্বাস্থ্যভবনের রিপোর্ট অনুযায়ী জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতির জেরে একদিনে ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। রাজ্যের তরফে আজ এই প্রসঙ্গে আদালতে বলা হয়, “২৩ জন মারা গিয়েছেন। ৬০০০ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত। তাঁরা কাজে ফিরছেন না। এই আদালত গত শুনানিতে কাজ শুরু করতে বলেছিল। পুলিশের অনুমতি ছাড়াই যে কোনও জায়গায় প্রতিবাদ জানানো হচ্ছে। ৪১ জন পুলিশকর্মী আহত। এক জন পুলিশের চোখ নষ্ট হয়ে গিয়েছে।”
এছাড়া যে বিষয়গুলি প্রধান বিচারপতি জানতে চেয়েছেন:
হাসপাতালে কত বরাদ্দ করা হয়েছে, তা জানতে চাই না। ওই হাসপাতালে কী করা হয়েছে, সেটি জানতে চাই।
মৃতদেহ কখন ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছিল
প্রস্তাব: মেডিক্যাল কলেজের মাথায় ডিস্ট্রিক কালেক্টরদের নিয়োগ করুন এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করে আমাদের জানান।
আদালতের নির্দেশ, সোমবারই রাত ৯টার মধ্যে নিরাপত্তা সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সিআইএসএফকে দেবে রাজ্য।
এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী মঙ্গলবার। সিবিআইকে ফের তদন্তের স্টেটাস রিপোর্ট জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতি বলেছেন, “ওপেন কোর্টে কিছু মন্তব্য করতে চাই না। যাতে তদন্তে প্রভাব পড়ে। আগামী সোমবার তদন্তের আবার স্টেটাস রিপোর্ট দিন।” তদন্তে নতুন কী কী তথ্য উঠে এল, তা নিয়ে আগামী সোমবার স্টেটাস রিপোর্ট জমা দেবে সিবিআই।
অন্যদিকে, সন্দীপ ঘোষ ঘনিষ্ঠ অভীক দে, বিরূপাক্ষ বিশ্বাস এবং রঞ্জিত সাহার বিরুদ্ধে FIR দায়ের করলো জুনিয়র চিকিৎসকদের একাংশ। তাদের অভিযোগ, ওই তিন চিকিৎসকই বিভিন্ন সময় তাদের ভয় দেখিয়েছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে FIR রজু করেছে বৌবাজার থানা।
উল্লেখ্য, এই আবহে মুখ্যমন্ত্রীকে অবিলম্বে মন্ত্রিসভার বৈঠক ডাকার কথা বললেন রাজ্যপাল। সূত্রের খবর, রাজ্যপাল বলেন মন্ত্রিসভার বৈঠক ডেকে আগে সরানো ‘হোক বিনীত গোয়েলকে’।