অপরাজিতা বিল সই না করে কি আটকে রাখার চেষ্টা করছেন রাজ্যপাল?
গত মঙ্গলবার বিধানসভায় সর্বসম্মতিক্রমে পাশ হয় ‘অপরাজিতা নারী ও শিশু বিল’ (পশ্চিমবঙ্গ ফৌজদারি আইন সংশোধনী বিল, ২০২৪)। ধর্ষণের মতো অপরাধের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে মামলার নিস্পত্তির কথাও বলা আছে বাংলার বিলে। রীতি অনুযায়ী, বিধানসভায় পাশ হওয়া যে কোনও বিল পাঠানো হয় রাজভবনে। সেই বিলে রাজ্যপাল স্বাক্ষর করলে তা আইনে পরিণত হয়।কিন্তু এই বিল নিয়ে সন্তুষ্ট নন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। সূত্রের খবর, ‘অপরাজিতা বিল’ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন রাজ্যপাল। বিধানসভায় পাশ হওয়া এই বিল ইতিমধ্যেই পাঠানো হয়েছে রাজভবনে। কিন্তু বিলের সঙ্গে প্রয়োজনীয় ‘টেকনিক্যাল রিপোর্ট’ পাঠায়নি রাজ্য।
যা না পেলে কোনও বিলে রাজ্যপাল সম্মতি দিতে পারেন না।রাজ্যের যে কোনও বিল নিয়েই প্রশ্ন তুলতে পারেন রাজ্যপাল। কোনও বিল কেন আনা হয়েছে, কী ভাবে আনা হয়েছে, সেই সংক্রান্ত বিস্তারিত একটি রিপোর্ট বিলের সঙ্গেই জমা দিতে হয়। তাকে বলে ‘টেকনিক্যাল রিপোর্ট’।এ প্রসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ‘আজকের মধ্যেই বিলের ‘টেকনিক্যাল রিপোর্ট’ চলে যাবে। অন্য রাজ্যের থেকে বাংলার পরিস্থিতি আলাদা। তাই অবিলম্বে এই বিল পাশ করিয়ে দেওয়া উচিত রাজ্যপালের। প্রয়োজনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করে উদ্যোগ নিন রাজ্যপাল। সবটাই বাংলার স্বার্থে করুক।’
নিয়ম অনুযায়ী রাজ্যপাল যদি বিল নিয়ে নিজে সিদ্ধান্ত নিতে না পারেন তাহলে সেটি রাষ্ট্রপতি ভবনে পাঠাতে পারেন। এই ধরনের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতিই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেন। রাজ্যের তরফে আলাদা আইনের ব্যবস্থা নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই বলেছেন, “আমরা এমন কোনও কথা বলি না. কাজ করি না, যা মানুষের পক্ষে নয়। পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভআ থেকে আগামী ১০ দিনের মধ্যে ধর্ষকের ফাঁসির বিল পাস করে রাজ্যপালের কাছে পাঠাব। আমি জানি, রাজার পাট, রাজাবাবু কিছু করবেন না। না করলে, মনে রাখবেন, মেয়েরা, বোনেরা, রাজভবনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা গিয়ে বসে থাকবেন। এই বিল সই করতে হবে। রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠিয়ে দায়িত্ব সারলে হবে না।”