‘অপরাজিতা বিল ২০২৪’-এর সঙ্গে ‘ন্যায় সংহিতা’র তফাৎ কোথায়?
আরজি কর-কাণ্ডের আবহে ধর্ষণের মতো অপরাধের ক্ষেত্রে কঠোরতম শাস্তি দিতে নতুন বিল এনেছে রাজ্য সরকার। কেন্দ্রীয় সরকারের আনা ‘ভারতীয় ন্যায় সংহিতা’য় ধর্ষণের শাস্তির কথা উল্লেখ থাকলেও, আরও কড়া আইন আনতে চাইছে রাজ্য৷ ‘ভারতীয় ন্যায় সংহিতা’-র সঙ্গে ‘অপরাজিতা নারী এবং শিশু সংশোধনী বিল’-এর পার্থক্য কোথায়?
১. ধর্ষণ ও গণধর্ষণের ক্ষেত্রে ভারতীয় ন্যায় সংহিতায় ১০ থেকে ২০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের কথা বলা আছে, ক্ষেত্র বিশেষে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড। অপরাজিতা বিলে বলা হয়েছে, এই অন্যায়ের ক্ষেত্রে আমৃত্যু সশ্রম কারাদণ্ডের শাস্তি, অপরাধ গুরুতর হলে মৃত্যুদণ্ড।
২. নির্যাতিতার মৃত্যু হলে, ভারতীয় ন্যায় সংহিতায় শাস্তির কথা বলা আছে- ২০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড, ক্ষেত্র বিশেষে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড। বাংলার নতুন অপরাজিতা বিলে সেই শাস্তি বাড়িয়ে করা হয়েছে প্রাণদণ্ড ও জরিমানা।
৩. অ্যাসিড আক্রমণের ক্ষেত্রে ভারতীয় ন্যায় সংহিতায় শাস্তি হিসেবে বলা আছে, ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড, ক্ষেত্র বিশেষে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও জরিমানা। বাংলার নয়া বিলে বলা হয়েছে, অ্যাসিড হামলায় অপরাধীর আমৃত্যু কারাদণ্ড, ক্ষেত্র বিশেষে প্রাণদণ্ডের শাস্তি হবে।