আর জি করের ঘটনায় উত্তাল রাজ্য, পুলিশ কমিশনারের বিবৃতি
আরজি কর হাসপাতালেই অন ডিউটি মহিলা চিকিৎসক খুনের ঘটনায় আটক ১। খুনই করা হয়েছে আরজি করে হাসপাতালের মহিলা চিকিৎসককে। মিলেছে চিকিৎসককে যৌন নির্যাতনের প্রমাণ, সূত্র লালবাজার। নাক, মুখে জমাট রক্ত, গোপনাঙ্গে ক্ষতের চিহ্ন, চোখ থেকেও রক্তক্ষরণ, শরীরে ১০ রকমের আঘাতের চিহ্ন। ‘মহিলা চিকিৎসকের শরীরের নানা জায়গায় একাধিক আঘাত । ২ পা থেকেই রক্তপাত, মুখ, পেটে আঘাতের চিহ্ন। শরীরে মিলল নখের আঘাতের চিহ্ন। এই ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধৃত ব্যক্তির নাম সঞ্জয় রায়। রাতেই তাকে লালবাজার নিয়ে যাওয়া হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
শুক্রবার তাঁর বাবাকে ফোন করে যথাযথ তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।ছাত্রীর মা-বাবাকে মমতার আশ্বাস, দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে। পরে ছাত্রীর বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সঙ্গে কথা বলবেন বলেও জানিয়েছেন মমতা। আরজি কর হাসপাতালের ঘটনায় ফাঁসির শাস্তি চাইলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, ফাস্টট্র্যাক কোর্টে ফাঁসির আবেদন জানানো উচিত।সিবিআই তদন্তে কোনো আপত্তি নেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলন সঙ্গত।
তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী এই বিষয়টিকে সামনে রেখে আর জি করের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ইউনিট নিয়ে বৈঠক করেছেন। আরজি কর হাসপাতালের ঘটনায় আজ সংবাদ মাধমের কাছে পুলিশ কমিশনার বিবৃতি দেন। সেখানে তিনি বলেন,”সারা রাত ধরে তদন্ত ও তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে।ময়না তদন্তের জন্য একটি ৩ ডাক্তারের বোর্ড ঘটনা করা হয়েছিল।পুরো ময়না তদন্তের ভিডিওগ্রাফি করা হয়।
ভিডিওগ্রাফি করার সময় পরিবারের সদস্য ও ছাত্র ছাত্রীরা উপস্থিত ছিলেন। তদন্তের ভিত্তিতে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। পরিবার অন্য কোনো এজেন্সীকে দিয়ে তদন্ত করতে চাইলে আমাদের কোনো আপত্তি নেই।পরিবারের সব দাবি আমরা মেনে নিতে প্রস্তুত।অপরাধী যাতে সর্বোচ্চ শাস্তি পায় সেটা দেখা হবে।”