২২শে শ্রাবণ কবিগুরুর শেষযাত্রা
১৯৪১ সালের ২২ শ্রাবণ। প্রয়াত হলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। অসংখ্য জনগণ আসতে শুরু করে জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে। কবিগুরুর শেষযাত্রার পালঙ্ক নির্মাণ করেন নন্দলাল বসু। শেষযাত্রা বিকেল তিনটের সময় শুরু হয়। আকাশবাণী থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় কবির অন্তিম যাত্রার ধারাবিবরণী শোনানো হবে।টেলিফোনে খবর নিতে নিতেই সেই বিবরণ শোনাতে থাকেন বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র।
নিমতলা ঘাটে যাওয়ার পথ ভিড়ে ভিড়াক্কার। সেখানে শেষকৃত্যের কাজ আরম্ভ হয় রাত আটটা নাগাদ। পরিস্থিতি এমন হয় যে ভিড়ের কারণে কবিপুত্র রথীন্দ্রনাথ পৌঁছতেই পারলেন না কবির কাছে। ফলে মুখাগ্নিই করে উঠতে পারেননি তিনি। মুখাগ্নি করেন ঠাকুর বংশেরই পৌত্র সুবীরেন্দ্রনাথ ঠাকুর। যেখানে রবীন্দ্রনাথকে দাহ করা হয়, সেখানে আজ তাঁর স্মরণে রয়েছে একটি স্মৃতিফলক। তাতে লেখা – ‘অনায়াসে যে পেরেছে ছলনা সহিতে/সে পায় তোমার হাতে/শান্তির অক্ষয় অধিকার।’