সাত মাস ও ছ’মাসের অন্তঃসত্ত্বা নাদা হাফেজ ও ইয়ালাগুল রামাজানোভার অলিম্পিক যাত্রা
কথায় বলে মনের জোরই আসল। আর সেটাই প্রমাণ করলেন আজারবাইজানের ইয়ালাগুল রামাজানোভা ও মিশরের নাদা হাফেজ।প্যারিস অলিম্পিকে ইয়ালাগুল রামাজানোভা যখন হাতে তির-ধনুক নিয়ে ময়দানে নেমেছেন, তখন সাড়ে ছ’মাসের অন্তঃসত্ত্বা তিনি। সেই অবস্থাতেই দেশের জন্য লড়েছেন। সকলকে অবাক করে দিয়ে প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে জায়গা করে নেন রামাজানোভা। তবে সেখানে তিনি হেরে যান। জার্মানির মিশেল ক্রোপ্পেনের বিরুদ্ধে হেরে যান তিনি।এবারের অলিম্পিকে রামাজানোভা একা নন, আরও এক অন্তঃসত্ত্বা লড়াই করছিলেন। মিশরের নাদা হাফেজ সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা।
ফেন্সিংয়ে মেয়েদের ব্যক্তিগত স্যাবরে ইভেন্টে শেষ ষোলোয় পৌঁছন মিশরের নাদা হাফেজ।কিন্তু নাদা প্রমাণ করে দিলেন মাতৃত্ব আসলে এতই ‘স্বাভাবিক’, যে তার জন্য কিছু বন্ধ রাখার দরকার নেই। এমনকি অলিম্পিক্সও। তাই মিশর থেকে প্যারিসের মঞ্চে হাজির হন তিনি। সোমবার নিজের প্রথম ম্যাচে আমেরিকার এলিজাবেথ তার্তাকোভস্কিকে ১৫–১৩ পয়েন্টে হারিয়ে ওঠেন শেষ ষোলোয়।তবে শেষ ষোলোয় দক্ষিণ কোরিয়ান প্রতিযোগী হা ইয়াং জিওনের সঙ্গে হেরে যান ১৫–৭ পয়েন্টে। বিদায় নেন অলিম্পিক্স থেকে। নাদা হাফেজ ও ইয়ালাগুল রামাজানোভা প্রমাণ করে দিলেন মাতৃত্ব আসলে এতই ‘স্বাভাবিক’, যে তার জন্য কিছু বন্ধ রাখার দরকার নেই। এমনকি অলিম্পিকও।