কলকাতার হকারদের ভবিষ্যৎ কি
সপ্তাহখানেক আগেই কলকাতায় ৩ দিনের হকার উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে পুলিশ, তারপর মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে সেই উচ্ছেদ বন্ধ হয়। সম্প্রতি কলকাতার হকার সংখ্যা কত তাই নিয়ে সমীক্ষা চালিয়েছে পুরসভা। টাউন ভেন্ডিং কমিটির রিপোর্ট নিয়েও শুরু হয়েছে আলোচনা।
গত বছর বেহালায় একটি ছাত্রের মৃত্যুর পর এই রিপোর্ট দেয় টাউন ভেন্ডিং কমিটি, যেখানে বলা হয়েছিল, কলকাতার গুরুত্বপূর্ণ ৫৮টি মোড়ে কোনও হকারের ডালা বসতে দেওয়া যাবে না। শুধু তা-ই নয়, মোড়গুলি থেকে ৫০ ফুটের মধ্যে কোনও হকার বসতে পারবেন না।
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পর, গুরুত্বপূর্ণ ক্রসিংগুলো নিয়ে নতুনভাবে পরিকল্পনা শুরু করেছে পুর কর্তৃপক্ষ। সমীক্ষার কাজ যেমন হচ্ছে, তেমনই হকারদের জন্য বিভিন্ন প্রকল্পের কথাও ভাবা হচ্ছে। কলকাতা পুরসভার তরফে কর্মীদের হকার সমীক্ষার কাজের বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে ১৫০ জনকে। সমীক্ষায় দেখা গেছে, কলকাতার অধিকাংশ হকারই ভিন রাজ্যের বাসিন্দা – যেমন মূলত বিহার ও ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা। পুরসভা সূত্রে খবর, ২০১৫ সালের তালিকা অনুযায়ী শহরে ২ লক্ষ ৭৫ হাজার হকার থাকার কথা। কিন্তু গত ৯ বছরে সংখ্যাটা প্রায় দ্বিগুণ হয়ে পাঁচ লক্ষ ছাড়িয়ে গেছে। ইতিমধ্যেই সমীক্ষার রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে, এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
কলকাতা শহরের উড়ালপুলগুলির নীচে হকার-সহ পাকাপাকি ভাবে দোকান ও ঘরবাড়ি তৈরির বিষয়টিতে এবার জোর দিচ্ছে পুরসভা। শহরের অনেক জায়গায় কাগজকুড়ানি, গৃহহীন, ভবঘুরেরা রাতে ফুটপাথ বা উড়ালপুলগুলির নীচের অংশ ‘দখল’ করে থেকে যাচ্ছেন। প্রসঙ্গত, গড়িয়াহাট, পার্ক সার্কাস, খিদিরপুর এলাকায় উড়ালপুলের নিচের অংশ দখল করে দোকান ও আশ্রয়স্থল বানানোর অভিযোগ জমা পড়েছে কলকাতা পুরসভায়। তাদের সরাতে পুলিস কমিশনার বিনীত গোয়েলকে চিঠিও দিয়েছেন মেয়র।