জওয়ানদের মৃত্যুতেও ‘নীরব’ নরেন্দ্র মোদী
বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে অশান্ত জম্মু-কাশ্মীর। সোমবার রাতে জম্মু-কাশ্মীরের ডোডায় ভারতীয় সেনার সঙ্গে গুলির লড়াই শুরু হয় জঙ্গিদের। দু’পক্ষের লড়াইয়ে অনন্ত ৪ জন জওয়ান এবং এক জন পুলিশকর্মী গুরুতর আহত হন।
ঘটনাস্থল থেকে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় জওয়ানদের। তাদের মধ্যে ১ জন বাংলার দার্জিলিঙের বাসিন্দা।
ভারতীয় সেনার সঙ্গে জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের স্পেশ্যাল অপারেশন গ্রুপ (এসওজি) যৌথভাবে সোমবার সন্ধ্যায় ডোডা জেলার দেশা জঙ্গল এলাকায় তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে। ২০ মিনিটের লড়াইয়ে জঙ্গিদের ছোড়া গুলিতে চার জওয়ান জখম হন। তাদের মধ্যে ব্রিজেশ থাপা নামে ক্যাপ্টেন পদস্থ সেনা আধিকারিকও ছিলেন। চার জনেরই মৃত্যু হয়েছে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায়। ব্রিজেশের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
গত কয়েক দিন ধরে জম্মু-কাশ্মীরের বেশ কয়েকটি জায়গায় সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। কাঠুয়া, কুলগাম-সহ একাধিক এলাকায় চলতি মাসেই সেনাবাহিনীর উপর হয়েছে জঙ্গি হামলা। কখনও সেনা কনভয়ে, কখনও আবার সেনাগাড়ি লক্ষ্য করে ছোড়া হয়েছে গোলাগুলি।মাত্র ৩৮ দিনে ১২জন সৈনিক শহীদ হয়েছেন, ১৩জন আহত, ১০জন নাগরিক মারা গেছেন এবং ৪৪জন আহত।
বিরোধী শিবির অবশ্য এর জন্য মোদী সরকারকেই দায়ী করেছে। তাদের কথায় মোদী সরকারের ভুল নীতির মাসুল গুনতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। দিনে দিনে কাশ্মীর উপত্যকায় বাড়ছে জঙ্গিহানা, কিন্তু ইটালিয়ান পাস্তা আর বিয়েবাড়ির ধোকলা খাওয়া বন্ধই হচ্ছে না প্রধানমন্ত্রী সাহেবের। তিনি এখন বিদেশ সফর আর ফটো সেশনে ব্যস্ত।