দেশ বিভাগে ফিরে যান

সংবিধান হত্যা দিবস পালন নিয়ে তরজা

জুলাই 13, 2024 | 2 min read

১৯৭৫ সালের ২৫ জুন দেশে জারি করা হয়েছিল জরুরি অবস্থা। এই আবহে আগামী বছর থেকে বিজেপি সরকার এই দিবস পালনের ঘোষণা করায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, “২৫শে জুন তারিখটা সংবিধান হত্যা দিবস হিসাবে পালন করা হবে। যখন সংবিধানকে হত্যা করা হয়েছিল তখন কী হয়েছিল সেটাই মনে করিয়ে দেওয়া হবে সেদিন। জরুরি অবস্থার সময় যারা সেই যন্ত্রণা ভোগ করেছিলেন তাঁদের প্রতিও সম্মান জানানো হবে এই দিনে। এই ইমার্জেন্সি হল ভারতের ইতিহাসে কংগ্রেসের তৈরি করা কালো অধ্য়ায়।”

এর প্রত্যুত্তরে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে পোস্ট করেন, “গত ১০ বছরে আপনার সরকার প্রতিদিন ‘সংবিধান হত্যা দিবস’ পালন করেছে। আপনারা প্রতি মুহূর্তে দেশের প্রতিটি গরিব ও বঞ্চিত মানুষের আত্মসম্মান কেড়ে নিয়েছেন।”

এদিকে আপ নেত্রী প্রিয়াঙ্কা কক্কর বিজেপিকে আক্রমণ করেন, “২০১৪ সাল থেকে শাসক দল প্রতিদিন সংবিধানকে ‘হত্যা’ করেছে। সম্প্রতি চণ্ডীগড়ের মেয়র নির্বাচনের সময় অনিল মাসি ক্যামেরার সামনে সংবিধানকে খুন করেন। দিল্লিতে, দীর্ঘ ৯ বছরের লড়াইয়ের পরে, দিল্লি সরকার নিজেদের অধীনে সরকারি আধিকারিকদের বদলির অধিকার পেয়েছিল। কিন্তু বিজেপি একটি আইন এনে সুপ্রিম কোর্টের আদেশ প্রত্যাখ্যান করেছে। এটা সংবিধানের হত্যা।”

ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার সাংসদ মহুয়া মাজির বক্তব্য, “যে বিজেপি ৪০০ পেরিয়ে যাওয়ার স্লোগান তুলেছিল, তারা ৪০০ আসন পায়নি। ২০০-র ঘরেই আটকে গিয়েছে। আপনারা (বিজেপি) বর্তমানে কী উন্নয়ন করছেন, দেশকে কোন দিকে নিয়ে যাচ্ছেন, সংবিধান অনুযায়ী এখানে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে পারছেন কি না, তা নিয়ে আমাদের কথা বলা উচিত।”

দেশের বর্তমান অবস্থা সামলাতে ব্যর্থ নরেন্দ্র মোদী। খাদ্যপণ্য থেকে শুরু করে ওষুধপথ্য, সব কিছুই অগ্নিমূল্য। এই ব্যর্থতা ঢাকতেই কি ৫০ বছর আগের ইতিহাস খুঁজে বের করা। এমনটাই মনে করছেন তৃণমূল কংগ্রেসের কুনাল ঘোষ।

FacebookWhatsAppEmailShare

আরো দেখুন

নতুন দল গড়ে এবার রাজনীতির ময়দানে প্রশান্ত কিশোর
FacebookWhatsAppEmailShare
অলিম্পিকের সময়ে মোদির ফোন না ধরা নিয়ে বিস্ফোরক ভিনেশ
FacebookWhatsAppEmailShare
হাসপাতালে ঢুকে চিকিৎসককে গুলি করে খুন, দিল্লির ঘটনায় চাঞ্চল্য
FacebookWhatsAppEmailShare