বাংলায় রথযাত্রা – দ্বিতীয় পর্ব
দুর্গাপুজো বা কালীপুজোর মতো বিস্তৃত ক্ষেত্রে না হলেও রথযাত্রাও বাংলার একটি অন্যতম বড়ো উত্সব। শ্রীচৈতন্যের সময় থেকেই বাঙালির সঙ্গে রথের যোগাযোগ গাঢ় হয়েছে।রথযাত্রা শুধু উৎসব বা মেলা নয় রথ গতি ও এগিয়ে চলার প্রতীক। আজ বাংলায় রথযাত্রা – দ্বিতীয় পর্বে গুপ্তিপাড়ার রথযাত্রা সম্পর্কে তথ্য জানানো হবে।
গুপ্তিপাড়ার রথযাত্রা – বাংলার প্রসিদ্ধ রথযাত্রা গুলোর মধ্যে অন্যতম হুগলির গুপ্তিপাড়ার রথযাত্রা। ২৮৫ বছরে পড়ল গুপ্তিপাড়ার রথযাত্রা। এই রথ উৎসব শুরু করেন মধূসুদানন্দ মতান্তরে পিতাম্বরানন্দ।পুরীর রথের সঙ্গে এই রথের একটি বিশেষ পার্থক্য হল, এই রথকে শ্রী বৃন্দাবন জিউ’র রথ বলা হয়।এই রথ আগে ছিল ১৩ চূড়াবিশিষ্ট। ১৯৫৭ সালে সংস্কারের সময় চারটি চূড়া বাদ দেওয়া হয়। এখন রথ নয় চূড়াবিশিষ্ট।বৃন্দাবন মন্দির থেকে জগন্নাথ,বলরাম আর সুভদ্রা রথে চড়ে যান প্রায় এক কিলোমিটার দূরে গোসাঁইগঞ্জ-বড়বাজারে মাসির বাড়ি।প্ৰথা অনুযায়ী উলটো রথের আগের দিন গুপ্তিপাড়ার রথযাত্রায় ‘ভান্ডার লুঠ’ করা হয়। মাটির এক-একটা মালসায় কমবেশি পাঁচ কিলো করে প্রসাদ থাকে। প্রায় পাঁচশোর বেশি মালসার আয়োজন করা হয়। সেগুলি লুঠের মাধ্যমে পালিত হয় ভান্ডার লুঠ।