জগন্নাথ দেবের স্নানযাত্রার মাহাত্ম্য
জ্যৈষ্ঠ মাসের পূর্ণিমা তিথিতে মনুর যজ্ঞের প্রভাবে জগন্নাথ দেবের আবির্ভূত ঘটেছিল। সেই কারণে এই তিথিকে জগন্নাথের জন্মদিন হিসেবে পালন করার নির্দেশ দিয়েছিলেন মনু। জগন্নাথ দেবের জন্মদিন উপলক্ষ্যে এই বিশেষ তিথিতে তাই স্নানযাত্রা উৎসব পালিত হয়ে থাকে। জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রার রথযাত্রার ১৫ দিন আগে স্নানযাত্রা পালন করা হয়।
১০৮ ঘড়া জলে স্নান করে গরমের পর শরীর শীতল করেন জগন্নাথ – বলরাম – সুভদ্রা। আর তারপরই প্রবল জ্বরে কাবু হন মহাপ্রভু জগন্নাথ। রাজবৈদ্য তাঁদের চিকিৎসা করেন। ঈশ্বরের এই অসুস্থতার সময়টি ‘অনসর’ নামে পরিচিত। এই সময় ভক্তেরা দেবতার দর্শন পান না।
সর্দি-জ্বর হলে যেমন রোগীকে কিছুদিনের জন্য আলাদা রাখা হয়। তেমনই স্নান করে জ্বর এলে ১৪ দিনের জন্য আলাদা একটি ঘরে রাখা হয় স্বয়ং দেবতাকেও।প্রচলিত বিশ্বাস অনুসারে জগন্নাথ দেবের স্নানযাত্রা দর্শন করা হলে সমস্ত পাপ থেকে মুক্তি মেলে। স্কন্দ পুরাণ অনুসারে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে জগন্নাথ দেবের বিগ্রহ প্রতিষ্ঠার পরেই প্রথম বার রাজা ইন্দ্রদ্যুম্ন এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন।