এবছর আগস্ট থেকে বাতিল হবে ১৫ বছরের পুরোনো বাস
চলতি বছরে বাতিল হতে পারে কয়েক হাজার বেসরকারি বাস। ইতিমধ্যেই আশঙ্কার প্রহর গুনতে শুরু করেছেন বেসরকারি বাসমালিকেরা। উল্লেখ্য, ২০০৯ সালে পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্তের একটি মামলার ভিত্তিতে কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দেয় যে, ১৫ বছরের বয়ঃসীমা পেরিয়ে গেলে আর কোনও বাস কলকাতা শহর বা কেএমডিএ এলাকায় চালানো যাবে না।
এই নির্দেশ কার্যকরী হলে, একদিকে যেমন বেসরকারি বাস পরিষেবা ভেঙে পড়বে, অন্যদিকে তেমনই কলকাতা শহরে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি বাড়বে। বর্তমানে কলকাতায় রোজ ৪-৫ হাজার বেসরকারি বাস চলে। কিন্তু আদালতের নির্দেশ কার্যকর হলে আর মাস ছয়েক পরে এই সংখ্যা অর্ধেকে নেমে আসবে বলে আশঙ্কা করছেন বেসরকারি বাসমালিকেরা।
বাসমালিকদের একাংশের কথায়, নতুন প্রযুক্তির বাস রাস্তায় নামাতে গেলে কমপক্ষে খরচ হবে ২৫ থেকে ৩০ লক্ষ টাকা। এই মুহূর্তে পরিবহণ শিল্পের যা অবস্থা, তাতে বাসমালিকদের পক্ষে এত টাকা ঋণ নিয়ে নতুন বাস নামানো সম্ভব নয়।
সম্প্রতি পরিবহন দপ্তর একটি নির্দেশিকা জারি করে জানায় যে, ইউরো ফোরের গাড়িগুলিকে নতুন পারমিট দেওয়া যাবে। এক্ষেত্রে ১ অগস্ট থেকে ১৫ বছরের পুরোনো বাস তুলে নেওয়ার পরেও অন্য রুটের নির্ধারিত বয়ঃসীমার মধ্যে থাকা গাড়িগুলিকে আবার যাত্রী পরিষেবার ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে পারবেন তাঁরা। কোভিডের সময় যেসব বাসের রুট উঠে গেছে সেগুলিতে ইউরো ফোরের অধীন এমন অনেক বাস রয়েছে, যেগুলির বয়স ১৫ বছর পেরোতে ৫-১০ বছর বাকি। সেগুলিকেই পরিবহণ দফতর থেকে পারমিট বদল করে নতুন ভাবে চালানো যাবে। কিন্তু তাতে যাত্রী দুর্গভোগ কতটা কমানো যাবে তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে।
ইতিমধ্যেই বেসরকারি গাড়ির জরিমানা মকুব করে বেশি সংখ্যায় বেসরকারি বাস রাস্তায় নামানোর উদ্যোগী হয়েছে পরিবহণ দফতর। এর পাশাপাশি পরিবহন দপ্তরের নতুন নির্দেশিকায় বেশ কিছুটা স্বস্তিতে বেসরকারি বাসমালিকরা।