১৮ই জুন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূলের চার সদস্যের দল মুম্বইতে সেবির অফিসে যাবে
নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন, ৪ জুনের পরে শেয়ার বাজার এত দৌড়বে যে হাঁফ ধরবে। অমিত শাহ মন্তব্য করেন, ৪ জুনের আগে শেয়ার কিনে রাখুন। তার পরে বাজার চড়বে। বাস্তবে বুথ-ফেরত সমীক্ষাও মোদী সরকারের বিপুল আসনে জিতে প্রত্যাবর্তনের ইঙ্গিত দেওয়ার পরে নজিরবিহীন উচ্চতায় পৌঁছে গিয়েছিল সূচক।
কিন্তু সেই প্রত্যাশা পূরণ না হওয়ায় ফল বেরনোর দিন ৪০০০ পয়েন্টের বেশি পড়ে যায় সেনসেক্স। লগ্নিকারীদের ৩১ লক্ষ কোটি টাকা লোকসান হয়। তৃণমূল কংগ্রেস বাজার নিয়ন্ত্রক সেবি-র কাছে এ বিষয়ে চিঠি দিয়ে তদন্তের দাবি করে।
দলের রাজ্যসভার সাংসদ সাকেত গোখলে সেবি-র চেয়ারপার্সন মাধবী পুরী বুচকে চিঠিতে বলেছেন, ভুয়ো বুথ-ফেরত সমীক্ষার মাধ্যমে কারসাজি করে সূচককে চড়ায় তোলা হয়েছিল কি না, তা নিয়ে পূর্ণ তদন্ত প্রয়োজন। এই বিষয়ে সেবির কাছ থেকে কোনো উত্তর না পেয়ে তৃণমূলের চার সদস্যের দল কল্যাণ বন্দোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ১৮জুন মুম্বইতে সেবির অফিসে যাবেন।
তৃণমূলের চার সদস্যের দল এর সঙ্গে উদ্ধব ঠাকরের শিবসেনার ও শরদ পাওয়ারের এনসিপির সদস্যরাও থাকবেন। যদিও এই আলোচনার জন্য সেবির থেকে কোনো আমন্ত্রণ দেওয়া হয়নি। সেবির কাছে তৃণমূলের অভিযোগ বুথ-ফেরত সমীক্ষায় জড়িত একটি সংস্থাকে বিজেপি নিজস্ব সমীক্ষা চালানোর জন্য ভাড়া করেছিল।
সেই সংস্থা আবার সংবাদমাধ্যমের জন্যও ওই সমীক্ষা করেছে। ইচ্ছাকৃত ভাবে তারা বিজেপির জয়ের ইঙ্গিত দিয়েছিল কি না, তার তদন্ত প্রয়োজন। কোন কোন সংস্থা বাজারের ওঠানামা থেকে মুনাফা কুড়িয়েছে, তা-ও দেখতে হবে।