নির্বাচনী বিধিভঙ্গ করছে বিজেপি, কমিশনে তৃণমূল
নিয়ম তৈরী করে তা ভেঙে ফেলছে নিজেই, তার নাম গেরুয়া শিবির। মডেল কোড অফ কন্ডাক্ট এর স্রষ্টা সব রাজনৈতিক দলগুলির অন্যতম বিজেপি হলেও এখন তারা সেই নিয়মাবলী খোলাখুলি ভাঙছে।খোদ প্রধানমন্ত্রীর আচরণ বিজেপির অন্যান্যদের অনিচ্ছা সত্ত্বেও নিয়ম ভাঙতে বাধ্য করছে।
এর আগেও বিরোধীরা বিভিন্ন বিষয় নিয়ে অভিযোগ জানিয়েছে। তিনবার জাতীয় মুখী নির্বাচনী আধিকারিক এবং পশ্চিমবঙ্গের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে এই বিষয়ে অবগত করেছে তৃণমূল, কিন্তু সেই অভিযোগগুলির ভিত্তিতে কোনরকম পদক্ষেপ নেওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।
বিজেপির দ্বারা আদর্শ আচরণ বিধি লঙ্ঘনের কিছু দৃষ্টান্ত:
১. ২১ মার্চ, ২০২৪ – নিয়মবিরুদ্ধভাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ধর্মের ভিত্তিতে ভোট ভিক্ষা করেছিলেন।
২. ৪ মে, ২০২৪ – বিজেপি বিধি ভেঙে মিথ্যা, যাচাই না করা, বিদ্বেষপরায়ণ এবং ধর্মীয় বিভাজনকারী প্রকাশনা করে মানুষকে ভোট দেওয়ার আবেদন করে।
৩. ২৮ মার্চ, ২০২৪ – প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও বিজেপি প্রার্থী শ্রীমতি অমৃতা রায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয় একটি নতুন আর্থিক উপকারী প্রকল্প ঘোষণা করে ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করার জন্য।
৪. এর সঙ্গে আপনাদের অবগত করা হয় যে ১০ মে, ২০২৪-এ তেলেঙ্গানা প্রদেশের প্রচারসভা থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসকে “হিন্দু বিরোধী”-সহ একাধিক ভিত্তিহীন ভূষণে ভূষিত করেন। নাগরিকত্ব (সংশোধনী) আইন এবং অভিন্ন দেওয়ানি বিধির বিরোধীদের “ভোট জিহাদ”-এর সমর্থক বলে আখ্যা দেন তিনি। এর সঙ্গে তিনি দাবি করেন যে “জাতীয় কংগ্রেস হিন্দুদের দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক করে দিতে চায়”। এগুলির প্রত্যেকটিই আদর্শ আচরণ বিধির পরিপন্থী।
- বারবার এরকম উক্তি করে নরেন্দ্র মোদী আমাদের ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র এবং মুক্ত ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের কাঠামোকে আঘাত করছেন।
- এর মাধ্যমে তিনি দেশের নাগরিকদের মধ্যে হিংসা, বিভাজন এবং অশান্তির পরিবেশ তৈরি করছেন।
গতকাল এই মর্মে নির্বাচন কমিশন কে পুনরায় চিঠি দিয়েছে তৃণমূল। তারা জাতীয় মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে আবেদন জানিয়েছে যাতে তারা এই অভিযোগ পত্রের ভিত্তিতে আদর্শ আচরণ বিধির লঙ্ঘনকারীর বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণ করে।