ইডির বাজেয়াপ্ত অর্থ বণ্টনে আইনি বাধা, বলছেন বিশেষজ্ঞরা
এবছর ভোটের মুখে নরেন্দ্র মোদির নয়া প্রতিশ্রুতি, গরিব মানুষকে ফিরিয়ে দেওয়া হবে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের বাজেয়াপ্ত করা টাকাপয়সা। কিন্তু কতটা বাস্তবসম্মত এই প্রতিশ্রুতি?
সম্প্রতি বিজেপির কৃষ্ণনগরের প্রার্থীর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর ফোনালাপ সূত্রে এই বিষয় নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। এরপর রবিবার জলপাইগুঢ়ির সভাতেও নরেন্দ্র মোদি একই প্রতিশ্রুতি দেন। যদিও আর্থিক তছরুপ প্রতিরোধ আইন অনুসারে কোনও মামলার বিচারপ্রক্রিয়া সম্পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত বাজেয়াপ্ত অর্থ ও সম্পদ ইডির হেফাজতেই থাকবে। তা ব্যবহার করা যায় না অন্য কোনও ভাবে। অভিযুক্ত নির্দোষ সাব্যস্ত হলে আদালতের নির্দেশে তাঁকে ফিরিয়ে দিতে হয় বাজেয়াপ্ত অর্থ। একমাত্র দোষী সাব্যস্ত হলেই সেই টাকা যায় কেন্দ্রের কোষাগারে।
আইন বিশেষজ্ঞদের মতে, আর্থিক তছরুপ প্রতিরোধ আইনে বাজেয়াপ্ত অর্থ বা সম্পত্তির কী পরিণতি হবে, তার সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা কোনও প্রধানমন্ত্রীর নেই। আদালতই একমাত্র ওই টাকার ভবিষ্যৎ ঠিক করতে পারেন। টাকা ফেরাতে গেলে ক্ষতিগ্রস্তদের প্রথমে চিহ্নিত করবে আদালত। বিচার শেষে অভিযুক্ত দোষী সাব্যস্ত না পর্যন্ত ওই অর্থে কেউ হাত দিতে পারে না।
পিএমএলএ মামলায় তদন্তকারী সংস্থা এক্ষেত্রে ইডিকে প্রমাণ করতে হবে, বাজেয়াপ্ত অর্থ অপরাধ সূত্রে সংগৃহীত কালো টাকা। সেই বিচার চলাকালীন কোনও ক্ষতিগ্রস্ত আদালতের দ্বারস্থ হলে, তাকে প্রমাণ করতে হবে তিনি সেই আর্থিক তছরুপের জন্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এরপর তাঁকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া যাবে কিনা, তা সম্পূর্ণ আদালতের সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করছে।