কোন পদ্ধতিতে হল জ্ঞানবাপীর পুরাতাত্ত্বিক সমীক্ষা?
জ্ঞানবাপী মসজিদ নিয়ে প্রাথমিক রিপোর্টে ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ বা আর্কিওলোজিকাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া (এএসআই) জানিয়ে দিয়েছে যে মসজিদের নিচে মন্দির ছিল। আদালতে জমা পড়েছে এই সমীক্ষার রিপোর্ট।
কিন্তু এই সমীক্ষার পদ্ধতি নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন তুলেছে মুসলিম পক্ষ। মুঘল সম্রাট অওরঙ্গজেব ১৬৬৯ সালের ২ নভেম্বর মন্দির ভেঙে জ্ঞানবাপী মসজিদ নির্মাণের ফরমান দিয়েছিলেন, এমন শিলালিপির সন্ধান মিলেছে সমীক্ষায়।
সংগৃহীত ভাস্কর্য, মাটির পাত্র, টেরাকোটার নমুনা, মুদ্রা, ধাতু এবং কাচ থেকে হিন্দু মন্দিরের অস্তিত্ব প্রমাণিত হচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে। দেবনগরী, তেলুগু, কন্নড় ভাষায় বহু লিপি পাওয়া গেছে মন্দিরের অন্দরে। লিপিতে জনার্দন, রুদ্র এবং উমেশ্বর এই দেবতার নাম পাওয়া গিয়েছে। ত্রিশূল চিন্হও পাওয়া গিয়েছে সেখানে।
‘গ্রাউন্ড পেনিট্রেটিং রাডার’ ব্যবহার করে মাটির নীচের নানা স্তরে বিন্যস্ত বিভিন্ন যুগের কাঠামোর পরীক্ষা করেছে আর্কিওলজিকাল সার্ভে। শিলাখণ্ডের বয়স নির্ধারণে কার্বন ডেটিং পদ্ধতির প্রয়োগ করা হয়েছে।
কিন্তু পুরো রিপোর্টের কোথাও মসজিদ শব্দটি উল্লেখিত নেই বলেই আরো বিতর্ক তৈরি হচ্ছে।