বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগে সার্চ কমিটির নিদান সুপ্রিম কোর্টের
এই মুহূর্তে বঙ্গ রাজনীতির গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলির মধ্যে একটি হল রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাতে। এই সংঘাতে এবার নয়া মোড়।
আচার্য অর্থাৎ রাজ্যপালের বিরুদ্ধে এবার ১২ জন প্রাক্তন উপাচার্য মানহানির অভিযোগ করলেন। ইতিমধ্যেই রাজভবনে ই-মেল মারফত আইনি নোটিস পৌঁছে গেছে। নোটিস অনুযায়ী, আগামী ১৫ দিনের মধ্যে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে। ৫০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করা হয়েছে। অন্যথায় তার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করা হবে।
রাজ্যপালের বিরুদ্ধে শিক্ষাক্ষেত্রে ‘অতিসক্রিয়তা’র অভিযোগ তুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর জবাবে রাজ্যপাল বলেন, “আপনারা জানতে চাইবেন, কেন সরকারের মনোনীত উপাচার্য নিয়োগ করতে পারিনি। কারণ, তাঁদের মধ্যে কেউ দুর্নীতিপরায়ণ। কেউ ছাত্রীর শ্লীলতাহানি করেছে। আবার কেউ রাজনৈতিক খেলায় ব্যস্ত। আপনারাই বলুন বিশ্ববিদ্যালয়ে কী এমন অন্তর্বর্তী উপাচার্য থাকা উচিত যিনি দুর্নীতি করবেন বা ছাত্রীদের শ্লীলতাহানি করতে পারেন।”
রাজ্যপালের এই মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ করে রাজভবনের ১১ নম্বর গেটের বাইরে ধর্নায় বসেন উপাচার্য ও শিক্ষাবিদদের একাংশ।
এরই মাঝে উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্যপালের পাশে দাঁড়ালেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। তিনি বলেন, “উপাচার্য নিয়োগের অধিকার রাজ্যপালের রয়েছে। শিক্ষায় নাক না গলিয়ে রাজ্য নিজেদের দায়িত্ব পালন করুক।”
রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত চরমে পৌঁছেছে সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের বিচারপতি সূর্যকান্ত এবং দীপঙ্কর দত্তের বেঞ্চ রাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ করার জন্য সার্চ কমিটি গঠন করার আদেশ দিয়েছে। মামলার পরবর্তী শুনানি ২৭ সেপ্টেম্বর। তার আগেই প্যানেলের সদস্যদের নাম জমা দিতে হবে সুপ্রিম কোর্টে।