রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে রেজোলিউশন আনছে INDIA জোট
২০২৩ সালের বাদল অধিবেশনের আজ ১৯ তম দিন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর দেখা নেই। তাঁকে সংসদে আনার জন্য এবার থেকে অনাস্থা প্রস্তাব আনতে হবে, এমনটাই জানাচ্ছেন বিরোধীরা। আজ থেকে লোকসভায় শুরু হয়েছে অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা। চলবে আগামী ১০ আগস্ট পর্যন্ত। অবশেষে পরশু দিন সংসদে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, ঐদিনই লোকসভায় এই বিষয়ের ওপর বক্তৃতা দেবেন তিনি।
রাজ্যসভা:
অন্যদিকে আজও বিরোধীদের হৈ হট্টগোলে বারবার মুলতুবি হয় রাজ্যসভা। আজও সকালে মণিপুর নিয়ে চর্চার জন্য বিরোধীরা অনুরোধ করেন। সেইসময় উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড় এবং টিএমসি সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েনের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। এরপরেই উপরাষ্ট্রপতি সাংসদকে সদন ছেড়ে বেরিয়ে যেতে বললে উত্তাল হয় সংসদ। এরপর চেয়ারম্যান কার্যত ধমক দিয়ে সাংসদকে নিজের সিটে বসতে বলেন।
এই ঝামেলার মাঝেই সংসদীয় নেতা পীযূষ গোয়েল সাসপেনশন মোশন পেশ করেন। রাজ্যসভায় তাঁর বিরুদ্ধে স্থগিতাদেশের প্রস্তাব উত্থাপন করেন সংসদের নেতা পীযূষ গোয়েল। আর এই ঘটনার সাথে সাথেই কে সি ভেনুগোপালের নেতৃত্বে ওয়েলে নেমে আসেন কংগ্রেসের সাংসদরা।মল্লিকার্জুন খাড়গে এবং শরদ পাওয়ার ছাড়া ইন্ডিয়া জোটের সব সাংসদ(প্রায় ৮০-৯০ জন) ওয়েলে এসে স্লোগান দিতে থাকেন। সেই সময়েই সংসদ মুলতুবি করে দেন উপরাষ্ট্রপতি। সূত্রের খবর এরপর সাংসদকে ক্ষমা চাওয়ার জন্য প্রস্তাব দেওয়া হয় কিন্তু তিনি জানান ক্ষমা চাওয়ার কোন প্রশ্নই ওঠে না। দুপুর ২টো নাগাদ রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জানান, সবকিছু মিটমাট হয়ে গেছে। অতএব সাসপেন্ড হননি তৃণমূল সংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন।
চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে রেজোলিউশন ইন্ডিয়া’র:
সূত্রের খবর, এই ঘটনার প্রেক্ষিতে রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে একটি রেজোলিউশন আনছে ইন্ডিয়া জোট। এজন্য ৬ জনের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে আছেন সুখেন্দু শেখর রায় (তৃণমূল), জয়রাম রমেশ, তিরুচি শিবা, করিম, রামগোপাল যাদব এবং বন্দনা চৌহান। তারা এই রেজোলিউশন ড্রাফট করছেন। এই অধিবেশন নাকি পরের অধিবেশনা আনা হবে এই রেজোলিউশন, তা নিয়ে এখনও আলোচনা চলছে।