দেশ বিভাগে ফিরে যান

মণিপুরে দুর্গতদের পুনর্বাসনে ৩ সদস্যের কমিটি সুপ্রিম কোর্টের

আগস্ট 1, 2023 | 2 min read

মণিপুরে শান্তি ফেরানোর আগে সেখানে বিশ্বাসের বাতাবরণ তৈরি করতে হবে বলে মনে করছে সুপ্রিম কোর্ট। সেই জন্য সুপ্রিম কোর্ট প্রস্তাব দিয়েছে, সংঘর্ষ-বিধ্বস্ত মণিপুরে জাতিগত হিংসার ক্ষেত্রে পুনর্বাসন এবং অন্যান্য বিষয়গুলি দেখার জন্য একটি কমিটি তৈরি করার। একটি কমিটি দেখার জন্য হাইকোর্টের তিনজন প্রাক্তন বিচারপতিকে প্রস্তাব দিয়েছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত। প্রস্তাব অনুসারে, ওই কমিটির প্রধান হবেন জম্মু-কাশ্মীরের প্রধান বিচারপতি গীতা মিত্তল। এছাড়া ওই কমিটিতে থাকবেন বিচারপতি শালিনী ফাসাকারলার যোশী এবং আশা মেনন।

মণিপুরের ভাইরাল ভিডিওর নির্যাতিতা দুই মহিলার তরফে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করা হয়। বর্ষীয়ান আইনজীবী কপিল সিব্বাল, দুই নির্যাতিতা মহিলার পক্ষে সওয়াল করে জানান, মামলায় সিবিআই তদন্ত বা অসমে মামলা স্থানান্তর, কোনওটাই চান না নির্যাতিতারা। সেই সময়ে, সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা, সরকারের পক্ষে উপস্থিত হয়ে বলেন, সরকার কখনই মামলাটি অসমে স্থানান্তর করার অনুরোধ করেনি, বলেছে বিষয়টি মণিপুরের বাইরে স্থানান্তর করার জন্য।

প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, “আমরা সাম্প্রদায়িক ও জাতিগত সংঘর্ষে নারীর প্রতি অভূতপূর্ব মাত্রার কিছু হিংসার ঘটনা নিয়ে কাজ করছি। কিন্তু এখানে এটা বলা যাবে না যে নারীর বিরুদ্ধে অপরাধ অন্য রাজ্যেও হচ্ছে, কারণ মণিপুরের ঘটনা ভিন্ন। মণিপুর মামলায় আপনার কাছ থেকে কী পরামর্শ আছে বলুন? মণিপুরে যা ঘটেছে তা অন্যত্রও ঘটছে বলে আমরা বিষয়টিকে এড়িয়ে যেতে পারি না।”

মণিপুরে দু’জন উপজাতীয় মহিলাকে উন্মত্ত জনতার নগ্নভাবে প্যারেড করানোকে ‘ভয়াবহ’ বলেছেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি, বিচারপতি জে বি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ। সেইসঙ্গে যৌন নিপীড়নের সেই ভিডিওটির উল্লেখ করে বলেন, সময় ফুরিয়ে আসছে, দ্রুততার সঙ্গে মণিপুরের সমাধান প্রয়োজন। প্রধান বিচারপতি জানান, তিনি নিজে সেই ভিডিও দেখেছেন, সেই ভিডিওতে এমন কিছু আছে যা জাতীয় ক্ষোভ উসকে দিয়েছে।

প্রধান বিচারপতি বলেছেন, যে ভিডিওটি বেরিয়েছে, এটি মহিলাদের বিরুদ্ধে একমাত্র ঘটনা এমন নয়, সেখানে মহিলাদের বিরুদ্ধে অন্যান্য অপরাধের ক্ষেত্রে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে? কেন্দ্র যে হলফনামা দাখিল করেছে তাতে দেখা যাচ্ছে আরও অনেক ঘটনা রয়েছে যৌন হেনস্থার। শুধু এই তিন মহিলা নয়, মণিপুরে অপরাধের শিকার প্রতিটি মহিলার জন্যই ব্যবস্থা থাকা উচিত বলে প্রধান বিচারপতি জানিয়েছেন, “আমরা এই মুহূর্তে তদন্ত বন্ধ করতে পারি না, কারণ হিংসায় জড়িত অপরাধীদেরও গ্রেফতার করতে হবে।” মামলায় শূন্য এফআইআর নথিভুক্ত করার সময় নিয়ে মণিপুর পুলিশের আচরণে বিরক্তি প্রকাশ করে সুপ্রিম কোর্ট।

FacebookWhatsAppEmailShare

আরো দেখুন

বিশ্বের ১১০ কোটি অতি দরিদ্রের মধ্যে প্রায় ২৫ কোটি থাকেন ভারতেই!
FacebookWhatsAppEmailShare
দিল্লি এইমসে যৌন হেনস্থার দায়ে অভিযুক্ত মুখ্য নিরাপত্তা আধিকারিক, বিচারের জন্য প্রতিবাদ হবে তো সারা দেশে?
FacebookWhatsAppEmailShare
ভারতে থাকার মেয়াদ শেষ, চিন্তায় তসলিমা নাসরিন
FacebookWhatsAppEmailShare