পশ্চিম বর্ধমানে শুরু হয়েছে নেকড়ে শুমারি
কয়েক দশক আগেও রাঢ়বঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে ছিল নেকড়ের বসবাস। কিন্তু মানুষের সঙ্গে সঙ্ঘাত আর বনাঞ্চল ধ্বংসের কারণে ধীরে ধীরে কোণঠাসা হয়ে পড়েছে ওরা। ইন্ডিয়ান গ্রে উল্ফের বিচরণক্ষেত্র সীমাবদ্ধ হয়ে গিয়েছে বাংলার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ছোট ছোট কয়েকটি অঞ্চলে।
নেকড়ের মতো মাংসাশী প্রাণী বাস্তুতন্ত্রের ছোট স্তন্যপায়ীদের জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কিন্তু শহর বাড়তে থাকায় সংকুচিত হচ্ছে নেকড়েদের আবাসভূমি।
পশ্চিম বর্ধমান জেলার শিল্পনগরী দুর্গাপুরের অদূরে সেই অঞ্চলে সম্প্রতি শুরু হয়েছে এই নেকড়ে প্রজাতির সংখ্যা, বিচরণক্ষেত্র, খাদ্যাভ্যাস-সহ বাস্তুতন্ত্র বিষয়ক পূর্ণাঙ্গ সমীক্ষার কাজ। দেশের প্রথম সারির বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ সংস্থা ‘ওয়াইল্ডলাই ট্রাস্ট অফ ইন্ডিয়া’ (WTI) এবং দুর্গাপুরের বন্যপ্রাণপ্রেমী সংগঠন ‘উইংস’-এর যৌথ উদ্যোগে শুরু হয়েছে ভারতের অরণ্য থেকে হারিয়ে যেতে চলা এই মাংসাশী প্রাণীগুলির সরক্ষণের প্রচেষ্টা।