পুলিশহীন কলকাতা: যানজটে ভোগান্তি জনসাধারণের
পঞ্চায়েত ভোটের জন্য রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ছড়িয়ে গিয়েছেন কলকাতা পুলিশের ১২ হাজার কর্মী ও আধিকারিক। কোনও থানায় পড়ে রয়েছেন সাকুল্যে ১০ জন অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব-ইনস্পেক্টর তো কোথাও সেই সংখ্যাটা টেনেটুনে ছয়। থানার হোমগার্ড-কনস্টেবলের সংখ্যার হাল আরও খারাপ। যে ক’জন কর্মী আছেন, তারা কখনও ভিআইপি-দের বাড়ির নিরাপত্তায় যাচ্ছেন, কখনও থাকছেন দর্শনীয় স্থানের রোজকার দায়িত্বে। থানা চালাতে কার্যত বাধ্য হয়ে ‘ডবল ডিউটি’ করতে হচ্ছে আধিকারিকদের।
লালবাজার থেকে জানা যাচ্ছে, রিজ়ার্ভ ফোর্সের পরে সব চেয়ে বেশি কর্মী নেওয়া হয়েছে ট্র্যাফিক গার্ড এবং থানা থেকে। রাস্তায় ডিউটি করার জন্য পাওয়া যাচ্ছে না পুলিশকর্মী। যান নিয়ন্ত্রণের জন্য আধিকারিকদের ভরসা করতে হচ্ছে সিভিক ভলান্টিয়ারদের উপরে। বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে ট্র্যাফিক সামলাচ্ছেন মুষ্টিমেয় পুলিশকর্মী, বাকি রাস্তাগুলি কার্যত রক্ষীবিহীন। ফলে যানজট সমস্যা তৈরী হয়েছে শিয়ালদহ, উল্টোডাঙার মতো জনবহুল রাস্তায়।
কলকাতা পুলিশের ১০ হাজার কনস্টেবলের পাশাপাশি SI ও সার্জেন্ট মিলিয়ে ৫০০ জন এবং ১৫০০ জন ASI পাঠানো হয়েছে পঞ্চায়েত ডিউটিতে। ভোট মিটিয়ে তাঁদের ফিরতে লেগে যেতে পারে চার দিনেরও বেশি সময়। কোনও কোনও থানা থেকে অর্ধেকেরও বেশি কর্মীকে তুলে নেওয়া হয়েছে ভোটের জন্য।
এর পাশাপাশি কলকাতা ট্র্যাফিক পুলিশের ২৫টি গার্ড থেকে ভোটের কাজে গেছেন প্রায় ৮০ জন সার্জেন্ট, ১৮০০ জন ট্র্যাফিক কনস্টেবল, ২০০ জন এএসআই এবং দু’হাজার হোমগার্ড।