বেআইনিভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে মোদির ওপর তৈরি তথ্যচিত্র, পরিষ্কার আরটিআইতে
২০২২-এর জানুয়ারিতে মুক্তি পাওয়া বিবিসির ডকুমেন্টারী ‘ইন্ডিয়া-দ্য মোদি কোয়েশ্চেন’ কোনো কারণ না দেখিয়েই নিষিদ্ধ বা ব্যান করে দেয় কেন্দ্রের মোদি সরকার। ব্যান হওয়া সত্ত্বেও তা ছড়িয়ে পরে সামাজিক মাধ্যমে এবং স্ক্রিন করা হয় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে।
এবার ওই তথ্যচিত্র নিষিদ্ধ করার কারণ জানতে চেয়ে কেন্দ্রীয় তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের আন্ডার-সেক্রেটারি সোনিকা খট্টরের উদ্দেশ্যে আরটিআই করেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় মুখপাত্র ও আরটিআই কর্মী সাকেত গোখলে।
আরটিআইতে সাকেত জানতে চান, কোন ভিত্তিতে এই তথ্যচিত্র নিষিদ্ধ করা হয় এবং সেই সম্পর্কিত সব তথ্য, দস্তাবেজ, কাগজপত্র চান সরকারের কাছ থেকে।
উত্তরে মন্ত্রক জানায় যে আইটি রুলস ২০২১-এর ১৬ নম্বর আইনের আওতায় এবং “ইন্টার ডিপার্টমেন্টাল কমিটি”-র উপদেশে এই তথ্যচিত্রকে ভারতে নিষিদ্ধ করা হয়।
কিন্তু, এই রুলসের ১৬ নম্বর আইন তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রককে শুধুমাত্র জরুরি পরিস্থিতিতে কোনোকিছু নিষিদ্ধ করার শক্তি দেয়। সেই হিসেবে ব্যান করা হলেও মন্ত্রককে অন্তরবিভাগীয় কমিটি গঠন করতে হয়, যারা শুধুমাত্র উপদেশ দিতে পারে, আদেশ দিতে পারেনা। একই আইনের ১৭ নম্বর বিভাগ বলে মন্ত্রককে প্রত্যেক নালিশ বিষয়ক সব বৈঠক বা কাগজপত্র লিপিবদ্ধ রাখতে হবে এবং কমিটির সব সুপারিশ নথিবদ্ধ রাখতে হবে, যার অর্থ, এই সকল নথির ওপর জনগণের অধিকার রয়েছে।
কিন্তু এইসব সত্ত্বেও তথ্যচিত্র নিষিদ্ধ করার পেছনের আসল কারণ জানায়নি মোদি সরকার, শুধু ভাঙা রেকর্ডের মতো বলেছে যে এতে ভারতের “অক্ষুন্নতা এবং অখণ্ডতার ক্ষতি হবে।”
জরুরি অবস্থার ক্ষমতার অপব্যবহার করে এই তথ্যচিত্রকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে, যা পরিষ্কার হয়ে গেছে এই আরটিআইয়ের মাধ্যমে।