কলকাতায় গরমের জুড়িদার লোডশেডিং!
এই ভ্যাপসা গরমে কলকাতার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসছে প্রাত্যহিক লোডশেডিংয়ের অভিযোগ। ২ ঘন্টা, ৩ ঘন্টা – এমনকি টানা তিন দিন, এই গরমে কারেন্ট বন্ধ থেকেছে কলকাতার বহু জায়গায়।
মঙ্গলবার ও বুধবার বেশি লোডশেডিং হওয়ার জন্য অনেক স্থানে আইন-শৃঙ্খলার সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা ছিল, জানা যাচ্ছে কলকাতা পুলিশ সূত্রে। সবথেকে বেশি লোডশেডিংয়ের অভিযোগ এসেছে বেহালা, আলিপুর, দমদম, বেলগাছিয়া, গড়িয়া, ডোভার লেন ও কসবা থেকে। অন্ধকারাচ্ছন্ন থেকেছে হাওড়াও।
বুধবার কলকাতার তাপমাত্রা ছিল ৩৮.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ৩ ডিগ্রি বেশি। সর্বনিম্ন তাপমাত্রাও ৩০-এর থেকে সামান্য বেশি, যা স্বাভাবিকের সঙ্গে একই দূরত্ব বজায় রেখেছে।
এতো লোডশেডিংয়ের মাঝে সিইএসসির হেল্পলাইনে লাইন পাওয়াও হয়ে গেছে দুষ্কর। পাঁচবার, ছবার কল করার পর জানানো যাচ্ছে অভিযোগ, পাওয়া যাচ্ছে ডকেট নম্বর। কানেকশন ঠিক করতে আসতেও অনেক দেরি করছেন সিইএসসির কর্মীরা। এই নিয়ে সামাজিক মাধ্যমেও সরব হয়েছেন অনেক নাগরিক। বহু মানসূহের মতে, সঞ্জীব গোয়েঙ্কার সংস্থাকে দশকের পর দশক ধরে খোলা মাঠ দিয়ে দেওয়ায় তাদের কাজের গতি শ্লথ হয়ে গেছে। বাজারে প্রতিযোগিতা থাকলে কাজের গতি বাড়তো। অনেক নেটিজেন এও নিদান দিচ্ছেন যাতে কলকাতা ও পার্শবর্তী অঞ্চলে ইলেকট্রিক পৌঁছে দেওয়ার বরাত অন্য কোনো কম্পানিকে দেয় সরকার।