কুস্তিগীরদের হেনস্থার ঘটনায় সরব অনিল কুম্বলে
কুস্তিগীরদের সমর্থনে বিজেপি সাংসদ মানেকা গান্ধী
কুস্তিগীরদের পাশে দাঁড়ালেন খোদ বিজেপি সাংসদ মানেকা গান্ধী। কুস্তিগীরদের প্রতিবাদ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের করা প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, প্রতিবাদী কুস্তিগীররা ন্যায়বিচার পাবেন, এ ব্যাপারে তিনি আত্মবিশ্বাসী।
এছাড়া আজ বিকেলে আবারও কুস্তিগীরদের আন্দোলনের সমর্থনে মোমবাতি নিয়ে কলকাতার রাজপথে হাঁটলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন গোষ্ঠপালের মূর্তির পাদদেশ থেকে গান্ধী মূর্তির পাদদেশ পর্যন্ত হেঁটেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর সঙ্গে ছিলেন ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস সহ বেশ কয়েকজন ক্রীড়াবিদ। কুস্তি ফেডারেশনের সভাপতি ব্রিজভূষণ সিংয়ের গ্রেফতারির দাবিও করলেন তিনি।
এদিন গোষ্ঠপালের মূর্তির পাদদেশে দিল্লির কুস্তিগিরদের সমর্থনে কুস্তি লড়ছিলেন ২ কুস্তিগির। সেখানে পৌঁছে তাদের জন্য সরকারি চাকরির ঘোষণা করেন মমতা।
কুস্তিগীরদের হেনস্থার ঘটনার তীব্র নিন্দা করলেন ভারতীয় ক্রীড়াবিদ অনিল কুম্বলে। কুস্তিগীরদের সঙ্গে যা হয়েছে তাতে তিনি ব্যথিত। টুইট করে তিনি জানিয়েছেন, ‘২৮ মে আমাদের কুস্তিগীরদের সঙ্গে যে ব্যবহার করা হয়েছে তা দেখে আমি হতাশ। সঠিকভাবে আলোচনা করে সবকিছু ঠিক করা যায়। আশা করছি দ্রুত এটার সুরাহা করা হবে।’
বুধবার (৩১ মে) দিল্লিতে আন্দোলনকারী কুস্তিগীরদের পাশে দাঁড়িয়ে হাজরা থেকে রবীন্দ্র সদন পর্যন্ত মিছিল করেন বাংলার ক্রীড়াবিদরা। মিছিলে পা মেলালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। মিছিলের সকলের হাতে থাকা প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল ‘আমরা বিচার চাই'(“We Want Justice”)।
বিশ্ব কুস্তি সংস্থার পর এবার কুস্তিগীরদের লড়াই নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করল আন্তর্জাতিক অলিম্পিক্স কমিটি। বজরং পুনিয়া, সাক্ষী মালিক, বিনেশ ফোগটদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য ভারতীয় কুস্তি সংস্থাকে নির্দেশ দিয়েছে তারা।
বিশ্ব কুস্তি সংস্থা কুস্তিগীরদের আটক করার ঘটনার তীব্র নিন্দা করে জানিয়েছেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন না হলে ভারতের রেসলিং ফেডারেশন স্থগিত করা হবে।
ইউডব্লিউডব্লিউ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আমরা দেখেছি যে ডব্লিউএফআই সভাপতি একেবারে শুরুতেই সরে গিয়েছিলেন এবং তিনি আর রেসলিং বিষয়ক দেখাশোনা করছেন না। বেশ কয়েক মাস ধরে, আমরা ভারতের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলাম যেখানে কুস্তিগীররা ভারতের রেসলিং ফেডারেশনের সভাপতির বিরুদ্ধে হয়রানি ও শোষণের অভিযোগ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছেন। গত কয়েক দিনের ঘটনা আরও উদ্বেগজনক কারণ বিক্ষোভের কারণে কুস্তিগীরদের সাময়িকভাবে পুলিশ আটক করেছিল। তাদের বিক্ষোভস্থলও খালি করা হয়েছে। আমরা কুস্তিগীরদের আটকের নিন্দা জানাই। এ ছাড়া তদন্তের ফলাফল এখনও না পাওয়ায় তারা হতাশাও প্রকাশ করেন। বিষয়টির সুষ্ঠু ও পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করার জন্য আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করছি।’
বিশ্ব কুস্তিগীর সংস্থা ও জানিয়েছে যে তারা কুস্তিগীরদের সঙ্গে তাদের অবস্থা এবং নিরাপত্তার বিষয়ে কথা বলবে।
এদিকে এবার অভিযুক্ত কর্তা ব্রিজভূষণ কুস্তিগীরদের বললেন, “ওরা গঙ্গায় পদক ভাসাতে গিয়েছিল। ভাসাল না? শেষে কৃষকদের হাতে পদক দিয়ে এল! আমার বিরুদ্ধে তদন্ত হচ্ছে। আগে অপরাধ প্রমাণ হোক।” কুস্তীগীরদের বিরুদ্ধে ব্রিজভূষণ আরও বলেন, “ওরা পদক ভাসালেও আমার শাস্তি হবে না। ওরা আমার ফাঁসি চায়। তা হলে আমার বিরুদ্ধে যা প্রমাণ আছে সরকারকে, পুলিশকে দিক। সেটা কেন দিচ্ছে না!”