পাঠ্যক্রম থেকে বাদ ‘সারে জঁহা সে আচ্ছা’র স্রষ্টা
মোগল যুগের পর এবার পালা উর্দু কবি মহম্মদ ইকবালের (Muhammad Iqbal) – দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের (Delhi University) অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল তাদের স্নাতক স্তরের রাষ্ট্রবিজ্ঞান পাঠ্যক্রম থেকে ‘সারে জঁহা সে আচ্ছা, হিন্দুস্থাঁ হামারা’-র স্রষ্টার জীবনী বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নরেন্দ্র মোদী সরকার (Mod Government)।
১৮৭৭ সালে অবিভক্ত ভারতের শিয়ালকোটে (বর্তমানে পাকিস্তানে) ইকবালের জন্ম হয়। কবি হিসেবে তিনি দুই দেশেই সমাদৃত। তাঁকে জাতীয় কবির মর্যাদা দিয়েছে পাকিস্তান। মৃত্যু হয়েছে ১৯৩৮ সালে।
‘মডার্ন ইন্ডিয়ান পলিটিক্যাল থট’ শিরোনামের অধ্যায়টি ছিল বিএ-এর ষষ্ঠ সেমেস্টারের অংশ। তার মধ্যেই ছিল প্রয়াত কবির জীবনী এবং সাহিত্য রচনা সম্পর্কিত ‘ইকবাল: কমিউনিটি’ অধ্যায়টি। পিটিআই সূত্রে খবর, দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল এই অধ্যায়টি বাদ দেওয়ার সুপারিশ করেছে পরিচালন পর্ষদের কাছে। কেন্দ্র নিয়ন্ত্রিত পরিচালন পর্ষদ এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।
ইকবালের উপর ‘কোপ’ পড়ার উদ্যোগ শুরু হলেও ষষ্ঠ সিমেস্টারে রয়ে গেছেন রামমোহন রায়, পন্ডিতা রমাবাই, স্বামী বিবেকানন্দ, মহাত্মা গান্ধী এবং বিআর আম্বেদকর। পরবর্তীকাযে যেকোন সময় এদের ওপরেও এই কোপ আসতে পারে বলে মনে করছে শিক্ষকমহলের একাংশ।