জামাইষষ্ঠী কেন পালন করা হয়
বাঙালির বারো মাসের পার্বণের অন্যতম জ্যৈষ্ঠের জামাইষষ্ঠী৷ এই অনুষ্ঠানে আপ্যায়ন করা হয় বিবাহিত মেয়ে জামাইকে৷
মূলত পারিবারিক বন্ধনকে দৃঢ় করার লক্ষ্যেই এই আয়োজন৷ পাশাপাশি এই উৎসবে আপন করে নেওয়া হয় জামাইকেও৷
জ্যৈষ্ঠ মাসের শুক্লাপক্ষের ষষ্ঠী তিথিতে পালিত এই পার্বণের প্রকৃত নাম অরণ্যষষ্ঠী৷ যেহেতু জামাই আদরের বিষয়টি জুড়ে থাকে, তাই এর নাম হয়ে গেছে জামাইষষ্ঠী৷
ষষ্ঠীর উপকরণ:নতুন বস্ত্র, উপহার, ফল- ফলাদি, পান- সুপারি, ধান- ১০৮ দূর্বা, বাঁশের করুল, করমচা ফল, তালের পাখা, করমচা দিয়ে শাশুড়ি মায়েরা উদযাপন করেন জামাইষষ্ঠী।
রীতি: কাঁঠালপাতার উপর বিছিয়ে রাখা ৫ রকম ফল, পান সুপুরি, ধান দূর্বা, করমচা ফল, তালপাতার পাখার মতো সহজ উপকরণেই সাজানো হয় অরণ্যষষ্ঠীর ডালা৷ মা ষষ্ঠীর থানে পুজো দিয়ে আসার পর জামাইয়ের হাতে তেলহলুদ মাখানো সুতো বেঁধে দেন শাশুড়ি মা৷ তাঁর মঙ্গলকামনায় তেল-হলুদের ফোঁটা দিয়ে তিনবার ‘ষাট’ বলে তালপাতার পাখা ও ভেজা দূর্বাঘাসের বাতাস করা হয়৷ জামাইয়ের মাথায় ধান দূর্বা দিয়ে আশীর্বাদ করেন শাশুড়ি মা৷ তিনবার ‘ষাট বলার অর্থ দীর্ঘায়ু কামনা করা। পরে থাকে খাওয়াদাওয়ার আয়োজন৷