ঘরের মাঠে হেরে বিদায় নাইটদের
শেষ ম্যাচে রিঙ্কুর ৫০ ও নিয়ে যেতে পারলনা প্লে অফে নাইটদের
ঘরের মাঠে শেষ ম্যাচ ছিল কলকাতার, সেই ম্যাচে জয়লাভের জন্য যে নেট রান রেট দরকার ছিল সেই রান রেটের ধরে কাছেও গেলনা কলকাতা নাইট রাইডার্স
১৪ ম্যাচে ব্যাট ও বল হাতে ফ্লপ রাসেল
বিশেষত ব্যাটিংয়ের জন্য পরিচিত রাসেল ১০০ রানের গন্ডিও পার করতে পারেন নি এই সিজনে
অন্যদিকে অনেকবার রিঙ্কু – রানার ব্যাটিং আশা জাগিয়েছে ফ্যানদের
বোলিংয়ের দিকে বরুন চক্রবর্তী বা নারিন চেপে বোলিং করলেও উইকেট নিতে অনেক জায়গায় ভুলে গেছেন
বরুন নিজের ১০০% দিলেও নারিনের উপরে আশাহত ফ্যানেরা
ব্যাটসম্যানদের মধ্যেও ভেঙ্কটেশ, গুরবাজ বা রয় সুন্দর শুরু করেও ম্যাচ শেষ করতে পারেন নি প্রতিদিনই। এক রিঙ্কুর পক্ষে সম্ভব হয়নি রোজ ম্যাচ জেতানো
দলের নিলামেই কোনো বড় ব্যাটসম্যানকে দলে নেয়নি কলকাতা সেই কারণেই ফিনিসিং টাচ হয়তো দিতে পারেনি তারা
ফিনিশার হিসাবে রাসেলের ভূমিকা প্রশ্ন জাগিয়েছে প্রতিনিয়ত দলকে, পরের বছরে তাকে নাইটের জার্সিতেও দেখতে পাওয়া যাবে কি সেটা নিয়েও সংশয় তৈরি হয়েছে ইতিমধ্যে।
লোকি ফার্গুসন বা লিটনের মত ইন ফর্ম খেলোয়াড়দেরকেও ব্যবহার করতে পারেনি দল তার পরিবর্তে রানের যমুনা বইয়ে দেওয়া সুয়সকে ইম্প্যাক্ট হিসাবে খেলিয়ে গেছে
ভেঙ্কটেশকেও বল হাতে দেখা যায়নি
কোথাও গিয়ে দল গঠনেও ভুল করে গেছে নাইট বাহিনী।
নারিনকে পিঞ্চ হিটার হিসাবে ব্যবহার করা বা মাঝখানে ভেঙ্কটেশ কে বল না দেওয়া বা শার্দুলের মত বোলিং অলরাউন্ডকে ব্যাটসম্যান হিসাবে ব্যবহার করা
ভুল গোনা শুরু করলে শুরু থেকেই ভুল করেছে দল আর তার মাশুল গুনল আজ তারা
বছরের পর বছর স্বপ্নভঙ্গ ফ্যানদের সাথে ফ্রাঞ্চাইজিরও। নতুনভাবে দল গোছাবে কলকাতা নাকি আবার এই দোল নিয়েই নামবে আগামী বছরে সেটাই ভাবার