বন্যপ্রাণ পাচার-দুনিয়ায় চালু কোড নেম
করোনা আর লকডাউন শাপে বর হয়ে দেখা দিয়েছিল বন্যপ্রাণীদের কাছে।
কারণ, এতরকম কড়াকড়ির মধ্যে বন্যপ্রাণের চোরাচালানের পুরো নেটওয়ার্কটা অনেকটাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে আশা করা হয়েছিল।
কিন্তু না, চোরাচালানকারীরাও ভাইরাসের মতন ‘মিউটেট’ করেছে।
বন্যপ্রাণ বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতে বন্যপ্রাণ চোরাচালান রুখতে বিভিন্ন কেন্দ্রীয় এজেন্সি যত আধুনিক হয়েছে, চোরাচালানকারীরাও তত আপডেটেড হয়েছে।
হাওয়ালার মতো নোটের টুকরো, সাংকেতিক ভাষা বা কোড ব্যবহার, জিপিএস প্রযুক্তি এসবই এখন চোরাকারবারিদের পাচারের অভিধানে ঢুকেছে।
আন্তর্জাতিক বাজারে লাল বালিবোড়া (রেড স্যান্ড বোয়া) সাপের ব্যাপক চাহিদা। সাপটি সামনে এবং পিছনে চলতে পারে বলে পাচারের দুনিয়ায় এর নাম ‘ডাবল ইঞ্জিন’! এছাড়া তালিকায় রয়েছে প্যাঙ্গোলিন, হাতির দাঁত, বাঘের চামড়া-নখ, সরীসৃপের দেহাংশ, ক্যাঙারু ইত্যাদি।
তবে বর্তমানে দেশ জুড়ে সাধারণ মানুষের সচেতনতা বেড়েছে, তার ফলে পাচার রোখায় অনেক বেশি সাফল্য মিলছে।