বাংলায় আরও দুই চিড়িয়াখানা
নিউটাউনের ইকো পার্কের পাশে হরিণালয়ে এবং হাওড়ার গড়চুমুকে তৈরি হচ্ছে চিড়িয়াখানা। শুধু উদ্বোধনের অপেক্ষায় তারা।
২০১৬ সালে ইকো পার্ক লাগোয়া ৬ নম্বর গেটের কাছে তৈরি হয়েছিল হরিণালয়। এতে এতদিন হরিণ রাখা হলেও, এ বার সেটিকেই একটি ছোট চিড়িয়াখানার রূপ দেওয়া হয়েছে। হরিণালয়ে ইতিমধ্যেই নিয়ে আসা হয়েছে জিরাফ, জ়েব্রা এবং জলহস্তি। থাকছে অ্যামাজ়ন অববাহিকা, অস্ট্রেলিয়া মহাদেশ-সহ বিভিন্ন অঞ্চলের বিদেশি পাখি। ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলের পাখি ও জলের পাখিও দেখা যাবে।
হরিণালয়ে থাকা পশু-পাখিদের খাবার উৎপাদনের ব্যবস্থাও করা হয়েছে এই চিড়িয়াখানায়। তার জন্য লাগানো হয়েছে প্রচুর ফল ও আনাজেরগাছ। পাখিরা বিভিন্ন ধরনের পোকা খায়। তাই ওই চিড়িয়াখানায় সেই সব পোকার চাষও হচ্ছে। সাড়ে ১২ একর জমির উপরে এই চিড়িয়াখানাটি তৈরি হয়েছে ‘ক্লিন জ়ু, গ্রিন জ়ু’প্রকল্প অনুযায়ী।
হরিণালয়ের মতো গড়চুমুকের ডিয়ার পার্কটিকেও চিড়িয়াখানায় রূপান্তরিত করা হয়েছে, ২৪-২৫ একর জমি জুড়ে। এই চিড়িয়াখানাটিতে বর্তমানে তিন ধরনের হরিণ রয়েছে। আছে ঘড়িয়াল-সহ তিন ধরনের কুমির। ভারতীয় ও বিভিন্ন বিদেশি পাখি রয়েছে, রয়েছে এমু পাখি ও পাইথন, সজারু ও কচ্ছপ।