বায়ো টয়লেট সমেত অত্যাধুনিক জলযান নামছে লঞ্চযাত্রীদের জন্য
জলপথ পরিবহণকে আরও বেশি করে ব্যবহার করতে চায় রাজ্য সরকার৷ যাত্রীদের আরামপ্রদ সফরের উদ্দেশ্য নিয়ে তাই এবার ন’টি নয়া লঞ্চ বা জলযান নামাচ্ছে রাজ্য পরিবহণ দফতর। এম ভি সরস্বতী, সঙ্গীত, আত্রেয়ী, রঙ্গিত, সঙ্গী, শীলাবতী, চাকাচাকি, বিয়াস, মোহনচূড়া এই ন’টি নদীর নামে রাখা হয়েছে ন’টি জলযানের নাম। ৮০ ও ১০০ আসনের এই সব আধুনিক জলযানগুলি মূলত হুগলি নদীতে চলাচল করবে। হাওড়া থেকে কলকাতা ও পাশ্ববর্তী জেলাগুলোর গুরুত্বপূর্ণ ফেরিঘাটে যেখানে যাত্রী সংখ্যার খুব চাপ থাকে, সেখানেই এই জলযানগুলি ভাসানো হবে। ইতিমধ্যেই ৯টি অত্যাধুনিক জেটিও চালু করা হয়েছে। ভবিষ্যতে ই-ভেসেল বা বৈদ্যুতিক জলযান নামানোরও প্রস্তুতি নিচ্ছে রাজ্য।
রাজ্য পরিবহণ দফতর সূত্রে খবর, নতুন এই ভেসেলগুলিতে থাকছে বায়ো টয়লেট। এমনভাবে এগুলি বানানো হয়েছে যে, যাবতীয় বর্জ্য জমা হবে একটি চেম্বারে, কোনওভাবেই দূষিত হবে না নদীর জল। ঘাটে এসে তা পরিষ্কার করা যাবে। বিশ্বব্যাঙ্কের আর্থিক সহায়তায় জল পরিবহণ ব্যবস্থাকে সাজাতে একাধিক পরিকল্পনা নিয়েছে পরিবহণ দফতর। তারই অঙ্গ হিসেবে এই জলযানগুলি কেনা হয়েছে। এছাড়া সাজানো হয়েছে জেটিও। ইতিমধ্যে রাসমণি ঘাট, গৌরহাটি, গাদিয়াড়া, আউট্রাম ঘাট, বাঁশবেড়িয়া, দেবীতলার মতো জেটিগুলো নতুনভাবে তৈরি হয়েছে, লেগেছে আলো, বসেছে স্মার্ট কার্ড গেট, বানানো হয়েছে শৌচালয়ও।