খবর বিভাগে ফিরে যান

কুণাল ঘোষের বিস্ফোরক মন্তব্য

নভেম্বর 22, 2020 | 2 min read

‘উন্নয়নের কথা বলতে না পেরে সস্তার রাজনীতি ও চরিত্র হননের চেষ্টা করছে বিজেপি’, বিস্ফোরক কুণাল ঘোষ

আজ তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠকে কুনাল ঘোষ তীব্রভাবে আক্রমণ করলেন বিজেপিকে।

দেখে নিন তার বক্তব্যের মূল কিছু অংশ:

ভারতীয় জনতা পার্টি উন্নয়নে পাল্লা দিতে না পেরে ধ্বংসাত্বক কাজ করছে, ব্যক্তিগত কুৎসার পথ বেছে নিয়েছে। আমরা এর পক্ষে নেই। কিন্তু ওরা সীমা লঙ্ঘন করে যদি ব্যক্তিগত কুৎসার দিকে যায়, আমাদের কিছু বলতে হবে।

গতকাল কেউ বলে বসলেন বর্ষীয়ান সাংসদ সৌগত রায় সহ বেশ কয়েকজন সাংসদ নাকি বিজেপিতে যাচ্ছেন। সৌগত রায় বলেছেন প্রাণ থাকতে বিজেপিতে যাবেন না।

বিজেপি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে, যে ওদের নেতারা তৃণমূলে আসবেন বলে যোগাযোগ করছেন। আদি বিজেপি ছিল, তৎকাল বিজেপি আছে আর এখন পরিযায়ী বিজেপি হয়েছে।

উন্নয়নের কথা বলতে পারছে না, তাই অশান্তির রাজনীতি এবং চরিত্র হননের চেষ্টা করছেন। কারণ রাজ্যের কাজ নিয়ে সমালোচনা তারা করতে পারছেন না। কেন্দ্রীয় জনবিরোধী নীতি নিয়ে বলার তাদের মুখ নেই। কাল কৈলাস বিজয়বর্গীয় এক বক্তৃতায় এক যুব সাংসদের ব্যক্তিগতভাবে চরিত্র হনন করেছেন।

যুব নেতাকে আক্রমণ করার মানে কি তাঁকে তারা ভয় পাচ্ছেন? একটি শব্দ বার বার ব্যবহার করা হচ্ছে ‘ভাইপো’। সাহস থাকলে নাম উচ্চারণ করে বলুন কার কথা বলছেন? সস্তা হাততালি কুড়োনোর জন্যে যেন না বলেন।

বিসিসিআই- এর সেক্রেটারি হয়ে যিনি বসে আছেন তিনিও তো সম্পর্কে কৈলাশ জির ভাইপো। এই শব্দ ব্যবহার কাপুরষতা।মানুষের সামনে বলুন এই ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ। হাওয়ায় কথা ছাড়বেন না।

বিজেপির ইতিহাসে রাজনীতিবিদের পরিবারে রাজনীতিবিদ নেই? কৈলাশ বাবু, আকাশ বিজয়বর্গীয়কে চেনেন? আকাশ বিজয়বর্গীয়, কৈলাশ বিজয়বর্গীয়র ছেলে, মধ্যপ্রদেশের বিধায়ক, পুলিশের কাজে বাঁধা দিয়ে পুলিশকে ব্যাট দিয়ে মেরে অ্যারেস্ট হয়েছে। আমি বলছি নাম করে আপনার ছেলে আকাশ বিজয়বর্গীয় গুন্ডা।

যার কথা বলছেন সেই তরুন তুর্কী পর পর দুবার বিপুল ভোটে জিতে সাংসদ হয়েছে। নাম করে বলুন। কোন দুর্নীতি থাকলে তদন্ত করুন। আপনারা কেন্দ্রীয় সরকারে আছেন। এজেন্সি তো আপনাদের হাতে।

আপনি কাল বলেছেন সিন্ডিকেটের কথা, পশ্চিমবঙ্গের যে নেতা বলেছিল সিন্ডিকেট ছিল, আছে এবং থাকবে, সে এখন আপনার দলের সম্পাদক। সিন্ডিকেট বামফ্রন্ট জমানায় হয়েছিল। আপনি মুকুল রায়কে সহ সভাপতি করবেন আর সারদা নিয়ে অন্যদের জ্ঞান দেবেন তা হয় না।

২৯/৯/২০২০ তে আমি সিবিআইকে চিঠি দিয়ে আমি মুকুল রায়ের সাথে জয়েন্ট ইন্টারোগেশন দাবি করেছি। অতীতেও করেছি। রাজীব কুমারের সাথেও করেছি। মুকুল রায়কে আমার সামনে পাঠান জয়েন্ট ইন্টারোগেশনের জন্যে তারপর দুর্নীতি নিয়ে কথা বলবেন।

আইপিএস মির্জা অ্যারেস্টেড হয়েছেন। সিআরপিসি- র ১৬১ কেন প্রয়োগ হচ্ছে না তার ক্ষেত্রে? মির্জা বলেছেন যাও টাকাটা মুকুল রায়কে দিয়ে এসো। তার স্টেটমেন্টের জন্যে মুকুল রায়ের অ্যারেস্টেড হওয়া উচিৎ।

ইনকাম ট্যাক্সের একজন আধিকারিক সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়েছিলেন যে পশ্চিমবঙ্গের এক নেতা কালো টাকা সাদা করতে প্রচুর টাকা জমা দিয়েছেন। সিবিআই ইনকাম ট্যাক্সকে চিঠি দিয়ে বলেছিল সেই নেতার বিষয়ে তথ্য দিন। সেই চিঠি আজও এসে পৌছয়নি।

১৮/৯/২০ তে আমি প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে বলেছি দুটোই কেন্দ্রীয় সরকারের দপ্তর। দয়া করে ইনকাল ট্যাক্সকে বলুন সিবিআই- এর চিঠির উত্তর দিতে। নাহলে দুর্নীতির তদন্ত সম্পূর্ণ হবে না। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তাদের ধুয়ে পাশে বসাচ্ছেন? বিজেপি কি ওয়াশিং মেশিন নাকি?

বিজেপির তৃণমূলের কাজ সম্পর্কে বলার কিছু নেই। তাই তারা কুৎসা করছে। সবাইকে খুশি করা সম্ভব না। ভুল ত্রূটি থাকে। এই সরকার তা সংশোধন করার চেষ্টা করছে। আপনার তাও করছেন না। আপনারা মানুষের কাছে যেতে পারছেন না।

FacebookWhatsAppEmailShare

আরো দেখুন

অষ্টমীর খিচুড়ি এবার রাঁধুন ভারতের অন্য রাজ্যের কায়দায়
FacebookWhatsAppEmailShare
দেরাদুন গণধর্ষণের খবর প্রকাশ্যে আনায় বিজেপি সরকারের হুঁশিয়ারি সংবাদমাধ্যমকে
FacebookWhatsAppEmailShare
‘এক রাতে নোটবন্দি-লকডাউন হলে, ধর্ষকদের ফাঁসি নয় কেন?’ প্রশ্ন দেব-শুভশ্রীর
FacebookWhatsAppEmailShare