সাগরমেলার ইউনেস্কো স্বীকৃতি নিতে উদ্যোগ বাংলার
গঙ্গাসাগর মেলার ঐতিহ্যের উপর একটি নথি তৈরি করা হবে। এর ওপর ভিত্তি করে একটি ভিডিও ডকুমেন্টরি করার কথাও ভাবা হচ্ছে। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরে গঙ্গাসাগর নিয়ে প্রকাশিত তথ্য একত্রিত করা হবে। যা পরবর্তীকালে তুলে দেওয়া হতে পারে ইউনেস্কোর আধিকারিকদের হাতে।
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে গঙ্গাসাগর মেলা যেসব বিবর্তনের সাক্ষী থেকেছে, তাও তুলে ধরা হবে এই ডকুমেন্টরিতে। একইসঙ্গে রাজ্যের উদ্যোগে সাগর দ্বীপের পরিকাঠামো উন্নয়ন এবং প্রযুক্তির প্রয়াস, পুণ্যার্থীদের নিরাপত্তার কথাও থাকবে।
কঠিন পথ অতিক্রম করে প্রতি বছর লক্ষাধিক মানুষ পুণ্য অর্জনের আশায় সাগরমেলায় পৌঁছন। তাঁদের সেই যাত্রা সহজ করতে প্রতি বছর রাজ্য যে উদ্যোগ নেয়, সেই বিবরণও থাকবে।
এবছরের প্রস্তুতি:
এই বছর কচুবেড়িয়া, লট নম্বর ৮ এবং নামখানা সহ মুড়িগঙ্গার দু’পারের বিভিন্ন জায়গায় ন’টি স্থায়ী জেটির পাশাপাশি ১১টি অস্থায়ী জেটিও লাগানো হবে।
বাবুঘাট থেকে মেলা প্রাঙ্গণ পর্যন্ত মোট ১১টি বাফার জোন করা হচ্ছে। এতটা পথ অতিক্রম করার সময় এই সমস্ত জায়গায় বিশ্রাম নিতে পারবেন পুণ্যার্থীরা। এখানে থাকছে পানীয় জল ও শৌচালয়ের ব্যবস্থা।
থাকছে মোট ১৩২টি ভেসেল ও লঞ্চ।
পুণ্যার্থীদের জন্য পর্যাপ্ত সরকারি বাসের পাশাপাশি ২২০টি প্রাইভেট বাসও কাজে লাগাবে রাজ্য।
মেলায় থাকছে ৩০০ বেডের হাসপাতাল এবং এয়ার ও ওয়াটার অ্যাম্বুলেন্স।