নিউজ নাওয়ের নিরিখে টি-২০ বিশ্বকাপ ২০২২ এর সেরা একাদশ
সম্প্রতি শেষ হলো রোমাঞ্চে ভরা টি-২০ বিশ্বকাপ ২০২২, যেইখানে স্পষ্টত প্রমাণিত ক্রিকেট একটি অনিশ্চয়তার খেলা। সেই টুর্নামেন্ট শেষেই নিউজ নাও বেছে নিলো তাদের সেরা একাদশ।
জস বাটলার: মহেন্দ্র সিং ধোনির পরে জস বাটলারই প্রথম উইকেটকিপার-অধিনায়ক যিনি প্রথম প্রয়াসে টি-২০ বিশ্বকাপ জয় করেছেন। বিধ্বংসী এই ব্যাটসম্যান ৬ ইনিংসে ৪৫-এর গড়ে যেমন ২২৫ রান করেছেন, তার পাশাপাশি নেতৃত্বও দিয়েছেন দলকে।
অ্যালেক্স হেলস: বাটলারের জুটি হিসাবে ছিলেন ইনি। ভারতকে ১০ উইকেটে পরাস্ত করার দিনে মুখ্য ভূমিকা ছিল এনার। ভারতের বিরুদ্ধে ৮৬ রান করার পাশাপাশি বিশ্বকাপে করেছেন ২১২ রান ।
বিরাট কোহলি: ৪-টি হাফ সেঞ্চুরি সহ ৯৮.৬৬-র গড়ে এইবারের বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক বিরাট। এইবারের বিশ্বকাপে বিরাট করেছেন ২৯৬ রান। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তাঁর ফিনিশিং ইনিংস দর্শকদের মনে দাগ কাটার পাশাপাশি সেমিফাইনালের ৫০ রানটিও ক্রিকেট সমর্থকদের মনে থাকবে অনেকদিন।
সূর্যকুমার যাদব: প্রথম বিশ্বকাপেই মাতিয়ে দিয়েছেন সূর্য। তার ৩৬০-ডিগ্রি শট সিলেকশনে ক্রিকেট বিশ্বকে বিনোদন দিয়েছেন এই ব্যাটসম্যান। ৬ ম্যাচে ৫৯-এর গড়ে সূর্যের সংগ্রহ ২৩৯ রান।
বেন স্টোকস: অন্যদিনে প্রদর্শন ঠিক না থাকলেও সর্বদা বড় ম্যাচে হারা ম্যাচ জেতানোর জন্য পরিচিত মুখ ইনি। সে ২০১৯ এর ৫০ ওভারের ফাইনালই হোক বা ২০২২-এর জয়, কারিগরের নাম বেন স্টোকস। সিরিজে ৫ ম্যাচে ১১০ রান ও ৬-টি উইকেট নিয়েছেন বেন।
সিকন্দর রাজা: ইনি হলেন জিম্বাবোয়ের ‘ওয়ান ম্যান আর্মি’। একদিকে যেমন ৮ ইনিংসে ২১৯ রান করেছেন, অন্যদিকে ১০-টি উইকেটও নিয়েছেন। এইবারের বিশ্বকাপে সবথেকে বেশি ১১-টি ছয়ও মেরেছেনা রাজা।
শাদাব খান: গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে হার-জিতের মাঝে দূরত্ব সৃষ্টি করেছেন বারবার যিনি, তিনি হলেন শাদাব খান। পাকিস্তানের হয়ে দ্রুততম ৫০-এর রেকর্ডের পাশপাশি বিশ্বকাপে এই অলরাউন্ডার নিয়েছেন ১১টি উইকেট।
ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা: শ্রীলংকার এই লেগ স্পিনার বিশ্বকাপে পেয়েছেন ১৫টি উইকেট, যেটি এইবারের বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ।
স্যাম কারেন: চোটের কারণে গতবার খেলতে পারেননি স্যাম, কিন্তু এইবারে বল হাতে পুষিয়ে দিয়েছেন তিনি। ফাইনালের ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ ও এইবারের ম্যান অফ দ্যা সিরিজ তিনি। টুর্নামেন্টে একটি ম্যাচে ৫ উইকেট সহ মোট ১৩টি নিয়েছেন উনি।
শাহিন আফ্রিদি: এক সময় চোটের কারণে বিশ্বকাপ খেলা প্রায় অনিশ্চিত ছিল। কিন্তু সেই জায়গা থেকে ফিরে এসে নিজের পুরোটা দিয়েছেন শাহিন। ফাইনালে ওনার চোট না লাগলে ম্যাচের ফল হয়তো একটু আলাদা হতে পারত।
আর্শদীপ সিং: মুশকিল সময়ে মাথা ঠান্ডা রেখে বল করতে দেখা গেছে এই অল্পবয়সী বাম হাতের পেসারকে। আগামীদিনে শাহিন বা স্যামের মত উনিও জ্বলে উঠবেন, ধারণা বিশেষজ্ঞদের।