মোহনবাগানের কাছে ২-০ হার ইস্টবেঙ্গলের
‘যতবার ডার্বি, ততবার হারবি’ – বলে একে-অপরকে শাসান ইলিশ-চিংড়ি ভক্তরা। কিন্তু এই নিয়ে বারবার, ৭ বার! টানা সাতটি ডার্বিতে অপরাজিত থাকলো মোহনবাগান। আবার হারের মুখ দেখলো ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু দুর্দান্ত ফুটবলের সাক্ষী থাকলো ফুটবলের মক্কা কলকাতা।
রুদ্ধশ্বাস ডার্বির সাক্ষী থাকলো যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন। এরকম ম্যাচ গত কয়েক বছর দেখেনি ময়দান। মেহতাব-নবী যুগের পর ময়দান হয়তো আজ পেলো তার নতুন হিরো – হুগো বুমো।
৫৪ মিনিটে হুগো বুমোর লম্বা দূরত্বের শটকে ভুলভাবে বিবেচনা করে মিস করেন ইস্টবেঙ্গলের গোলরক্ষক কমলজিৎ। সেই ক্ষত শুকোতে না শুকোতেই ৬৫ মিনিটে বুমোর পাসে পেত্রাতস, পেত্রাতসের পাসে মনবীরের শটে দ্বিতীয় গোল করে মোহনবাগান।
দ্বিতীয় গোলের পর একাধিকবার প্রায় গোল করবে-করবে করেও বিফল হয় সবুজ-মেরুন। মোহনবাগানের শুভাশিস বোসের ডিফেন্স তাক লাগিয়ে দিয়েছে সবাইকে।
গাদা-গাদা কর্নার শট পেলেও মোহনবাগানের অসাধারণ ডিফেন্সের জন্য গোলে বল ঢোকাতে পারেননি ইস্টবেঙ্গল স্ট্রাইকাররা।
বাগানের গোলরক্ষক বিশাল কেইথ প্রথমার্ধে দুটি অনবদ্য সেভ করে ক্রমাগত চাপে রাখেন ইস্টবেঙ্গলকে। তিনি প্রাচীরের মতো প্রতিরোধ না গড়ে তুললে ম্যাচের ফলাফল অন্য হতেই পারতো।
ইস্টবেঙ্গলের ক্লেটন সিলভা একাধিকবার চেষ্টা করেও ভেদ করতে পারেননি বিশাল-প্রাচীরকে। পেনাল্টি বক্সের মধ্যে জাদু চলেনি লিমার। দলের জন্য কিচ্ছু করতে পারলেননা কিরিয়াকু। ডিফেন্সের মাধ্যমে নজর কেড়েছেন সার্থক গোলুই।
বলা বাহুল্য, এই হারের পর আইএসএলে প্রায় টিকে থাকা দায় হলো কন্সট্যানটাইনের দলের।