বাংলা বিভাগে ফিরে যান

তিন নবপত্রিকায় দূর্গা পুজো হয় বাঁকসার মিত্র বাড়িতে

সেপ্টেম্বর 20, 2022 | 1 min read

বিগত ২০০ বছর ধরে দূর্গা পুজো হয়ে আসছে শ্রীরামপুরের বাঁকসায়। আগে মিত্র পরিবারের সাত শরিক মিলে পুজো করলেও এখন তা ঠেকেছে একটিতে; কিন্তু বিন্দুমাত্র কমেনি দূর্গা পুজো নিয়ে উৎসাহ বা মাতৃআরাধনার বহর।

এই পরিবারের পূর্বপুরুষ ভবানীচরণ মিত্র ছিলেন বর্ধমানের রাজার দেওয়ান। একদিন সরস্বতী নদীর ধারে পায়চারি করার সময়ে তিনি শুনতে পান শিবের মন্ত্র জপ ও ঘন্টার শব্দ। কিন্তু কাছাকাছি ছিলোনা কোনো শিবমন্দির। প্রথমে শোনার ভুল বলে উড়িয়ে দিলেও যখন একই ঘটনা বারবার ঘটতে থাকলো, তখন তিনি রাজার সাহায্যে, শ্মশানের ধারে নির্মাণ করেন ১২টি শিবমন্দির।

এরপরেই বাঁকসায় প্রতিষ্টিত হয় একটি রঘুনাথ ও রাধাকৃষ্ণের মন্দির।

উল্টোরথের দিন একটি কলাগাছের কান্ড দিয়ে হয় খুঁটিপুজো, যার কিছু অংশ পরবর্তীকালে ব্যাবর্হিত হয় মায়ের মূর্তিতে। রঘুনাথের মন্দির থাকলেও মিত্র বাড়ির পুজো হয় ‘কালিকা পুরাণ’ মেনে শাক্ত মতে। পুজো শুরুর ১০-১৫ দিন আগেই হয় বোধন, সেদিন থেকেই শুরু হয়ে যায় চন্ডীপাঠ।

একেবারে কোনোরকম একটি রীতি পালন করা হয় এই দূর্গা পুজোয় – পুজো করা হয় তিনটি নবপত্রিকায়। অধিবাসের পরেরদিন কৃষ্ণপক্ষের নবমী তিথিতে মঙ্গলঘটের পাশে রাখা হয় প্রথম নবপত্রিকা। মহালয়ার পরেরদিন আবার পালন করা হয় অধিবাস, যা দ্বিতীয়ার দিন বিসর্জন দেওয়া হয় এবং স্থাপন করা হয় আরেকটি নবপত্রিকা। এই নবপত্রিকাতেই দশমী অবধি পুজো করা।

আরেকটি রীতি অনুযায়ী ঠাকুরদালানের একটি চতুষ্কোণ জায়গায় মাটি ও কিছু বীজ ফেলা হয়, যার থেকে অংকুর বেরোয়। একে শুভ হিসেবে ধরা হয় কারণ মিত্রদের বাণিজ্য কৃষি নির্ভর।

ছাগল বলির সময়ে ঢেকে দেওয়া হয় রঘুনাথের চোখ। মাকে ভাসান দেওয়ার পর পরিবারের সদস্যরা রঘুনাথ জিউর মন্দির থেকে চরণামৃত খেয়ে আলতা দিয়ে কলাপাতায় লেখেন “মা দূর্গা সহায়”।

FacebookWhatsAppEmailShare

আরো দেখুন

রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি মমতার
FacebookWhatsAppEmailShare
বাংলায় ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় সিবিআই কে তিরস্কার সুপ্রিম কোর্টের
FacebookWhatsAppEmailShare
১০ দফা নির্দেশিকা-সহ স্বাস্থ্যসচিবকে চিঠি মুখ্যসচিব মনোজ পন্থের
FacebookWhatsAppEmailShare