তৃণমূলের পছন্দ-অপছন্দের তালিকা
পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বুথস্তরের কর্মীদের রণনীতি নিয়ে আজ নেতাজি ইনডোরে সমাবেশের আয়োজন করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস।
একনজরে দেখে নিন পছন্দ-অপছন্দের তালিকাঃ
শশী পাঁজা: তথ্য দিয়ে খুব ভালো বক্তব্য রেখেছেন। “দেশের সবচেয়ে নিরাপদ শহর কলকাতা, যার দায়িত্বে আমাদের নেত্রী আর দিল্লি সবচেয়ে অসুরক্ষিত শহর আর দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের দায়িত্বে রয়েছেন ভারতের সবচেয়ে বড় পাপ্পু অমিত শাহ।” বর্তমানে তিনি বাংলার শিল্প ও বাণিজ্য দপ্তর, নারী ও শিশু উন্নয়ন এবং সমাজকল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী।
বীরবাহা হাঁসদা: সাঁওতালি, বাংলা দুই ভাষাতেই খুব ভালো বক্তব্য রেখেছেন। জঙ্গলমহলের মানুষদের কথা তুলে ধরেছেন। বর্তমানে উনি বন দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়: তিনিই আজ নেত্রীর ‘ডেয়ারডেভিল’ (daredevil). দুর্দান্ত বক্তৃতা দিয়েছেন। অমিত শাহ কেন ভারতের সবচেয়ে বড় পাপ্পু তা খুব ভালোভাবে বুঝিয়ে দিয়েছেন।
শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ঃ সিনিয়র মন্ত্রী। বিজেপি কিভাবে স্বৈরাচারী শাসন চালাচ্ছে তা তিনি খুব ভালোভাবে ব্যক্ত করেছেন।তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, নীরব মোদী, মেহুল চোকসিরা যখন ভারতের মাটি থেকে যখন ১ লক্ষ কোটি টাকা বাইরে চলে গেলো তখন কারা তাদের গার্ড করেছিল?
মদন মিত্রঃ আজ তাঁকে স্টেজে দেখা যায়নি ঠিকই। কিন্তু নেত্রীর ডাকে তিনি দর্শকাসন থেকেই হাত নেড়েছেন। বর্তমানে তিনি পরিবহনের দপ্তরের চেয়ারম্যান এবং কামারহাটির বিধায়ক।
মহুয়া মৈত্র: সম্প্রতি মা কালীকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের কারণে গোটা দেশ জুড়ে বিতর্কের ঝড় উঠেছে। এছাড়া নিজের এলাকায় সংগঠনের ঝামেলা নিয়েও জর্জরিত তিনি। তাই আজ তাকে নিজের লোকসভা কেন্দ্রের খেয়াল রাখার নির্দেশ দিয়েছেন নেত্রী।
কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়: দলের মুখ্য সচেতক হওয়া সত্ত্বেও, স্টেজে তাঁর ডাক পড়েছে অনেক পরে। অনুষ্ঠান শুরু হয়েছিল ১১.৩০ নাগাদ কিন্তু তাঁকে স্টেজে ডাকা হয় ১টা নাগাদ।
রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও সব্যসাচী দত্ত: কোথায় তারা? ইদানিং দলীয় কর্মসূচিতে এনাদের দেখা মেলা ভার।
জহর সরকার: সম্প্রতি দলবিরোধী মন্তব্যের পর বেশ খানিকটা কোনঠাসা তিনি। এদিন এক জায়গায় চুপ করে বসে থাকছে দেখা গেছে তাঁকে।