৯৩-এ কিশোর
‘আজ এই দিনটাকে’ ভোলেনি বাঙালি তথা ভারতবাসী। আমাদের ‘দিলের চ্যান’ চুরি করা চিরকিশোর কিশোর কুমার গাঙ্গুলির ৯৩তম জন্মবার্ষিকী আজ। নিজের শর্তে বাঁচতেন কিশোর। যেদিন মেজাজে থাকতেন, একবারেই রেকর্ড করে দিতেন কঠিন সুরের গান। কিন্তু মেজাজ বিগড়ে থাকলে তাঁকে দিয়ে গান গাইয়ে নেওয়ার সাধ্য কারও ছিল না।
কেউ কেউ তাঁকে বলতো “খামখেয়ালি”। কখন যে কি চলছে তাঁর মনে, তা বোঝা মুশকিল। এরই উদাহরণ স্বরূপ বলা যায় একটি অদ্ভুত গল্প। এক অদ্ভুত বাড়ি বানাতে চেয়েছিলেন কিশোর কুমার। সেই বাড়ির প্রতিটা ঘর ভরা থাকবে জলে। আর তাঁর শোওয়ার ঘরের খাটের সামনে থাকবে একটা নৌকা। সেই নৌকায় চেপে তিনি যাবেন ডাউনিং রুমে। এমন বাড়ি বানানোর জন্য নাকি কিশোর কুমার একজন আর্কিটেক্ট-এর খোঁজও করেছিলেন। কিন্তু শেষমেশ তা আর হয়ে ওঠেনি।
এই কথা তিনি বলেন সাংবাদিক প্রীতিশ নন্দীকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে। অবশ্য এই কথা বলার পর তিনি মজা করে নন্দীবাবুকে এও বলেন যে, “আপনি বম্বের গরমে থ্রি-পিস্ স্যুট পরে আসতে পারলে আমি কেন এরকম বাড়ির স্বপ্ন দেখবোনা?”
কিশোর কুমার হইতে সাবধান। এমনই লেখা একটি বোর্ড টাঙানো ছিল তাঁর বাড়ির সামনে। একবার চলচিত্র পরিচালক এইচএস রাওয়াল এসেছিলেন কিশোর কুমারের বাড়িতে। কথাবার্তার পর রাওয়াল যখন বেরিয়ে যাচ্ছেন, তখন তাঁর হাত কামড়ে দেন কিশোর কুমার। রাওয়াল কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাড়ির বাইরে টাঙানো বোর্ড দেখে আসা উচিত ছিল তাঁর।
পুরুষ এবং মহিলা – দুই কণ্ঠেই গান গাইতে পারতেন কিশোর। আজ এই কিংবদন্তির জন্মবার্ষিকীতে নিউজনাও তাঁকে জানায় সশ্রদ্ধ প্রণাম।