বাংলা বিভাগে ফিরে যান

রমজানি স্বাদে জাকারিয়া যেন শহরের ফুড স্ট্রিট

এপ্রিল 11, 2022 | < 1 min read

নাখোদা মসজিদ সংলগ্ন জ়াকারিয়া স্ট্রিটে এখন উৎসবের মুরসুম। রাস্তায় ম-ম করছে বিশেষ কিছু খাবার গন্ধ। খেজুর, নানা রকমের ফলের সম্ভার, ছোলা, হরেক রকম পকোড়া সহ রয়েছে চিকেন,মটন, ও গরুর মাংসের কাবাব। ইফতার উপলক্ষে রকমারি স্বাদের খাবার মেলে এখানে, যার টানে জাতধর্মের সমালোচনাকে ব্যাক স্টেজে রেখে সর্বস্তরের মানুষের পছন্দের জায়গা হয়ে উঠেছে জাকারিয়া স্ট্রিট।

এমনিতে এ পা়ড়ার বাতাসে বছরভরই মিশে থাকে সুখাদ্যের সুরভি। কিন্তু রমজানে এ তল্লাট দিয়ে হেঁটে যাওয়া মানেই ‘ফুডওয়াক’! শুধু রোজাদারেরা নন, গোটা কলকাতার খাইয়েরাই আসেন।

বিকেলে নমাজের সময় থেকে পরের দিন নমাজের আগে রোজা রাখা শেহরিদের জন্য খোলা থাকে দোকান। রাতভর খেতে পাবেন ব্যস্ততম জাকারিয়া স্ট্রিটে।বেলা বারোটা থেকে ভোর চারটে পর্যন্ত সরগরম গোটা তল্লাট।

বাকরখানি : ঈদের দাওয়াত হোক বা রমজানে রোজা শেষে ইফতার, বাকরখানি ছাড়া অসম্পূর্ণ; তাই বাকরখানি বাধ্যতামূলক। মাংসের বিভিন্ন পদের সাথে, বাকরখানি খাওয়ার রেওয়াজ! কলুটোলা থেকে বলাই দত্ত স্ট্রিট ধরে ডাইনে বেঁকে জাকারিয়ার মুখে এগোতেই আবার স্পেশাল বাখরখানির ‘স্টেশন’। ৮০ টাকার শুকনো, ফুরফুরে, প্রকাণ্ড গোলাকার দুধে ভিজিয়ে প্রাতঃরাশের মাওয়াঠাসা রুটি। ১০ দিন তাজা থাকবে বাখরখানি।

হালিম: রমজান বলতেই থকথকে মাংসভরা ডালের মতো হালিমের খিদে পায় আমবাঙালির। পার্ক সার্কাস, জাকারিয়া, খিদিরপুরের বাইরে কলকাতার হালিম-মানচিত্র এখন বিস্তৃত হাতিবাগান, নাগেরবাজার, গড়িয়াহাটেও। তবু জাকারিয়ার মেনুর বৈচিত্র্যই আলাদা। কলুটোলার ইসলামিয়া হোটেলের স্পেশাল হালিমে গুল্লি গুল্লি মাটন কোফতার মিশেল অনেককেই এ পাড়ায় টেনে আনে।

খাজলা: ফিয়ার্স লেনের দিকের শতাব্দী-প্রাচীন মেঠাইওয়ালা হাজি আলাউদ্দিনের ভাঁড়ারে নানা কিসিমের স্পেশাল খাজলা। এই খাজলা আদতে কম মিষ্টি খাজা, যা দুধে ডুবিয়ে খেতে অমৃত।

এছাড়া, রয়েছে স্পেশ্যাল খাস্তা বিস্কুট পাকিজা, মাকুটি বা মাংসের ঝোল দিয়ে খাওয়ার মিষ্টি রুটি শিরমল। রমজানে পদে পদে মাংসের কুচিভরা সামোসা, দইবড়া, পাঁচ টাকার ফলটলের সঙ্গে আমিনিয়া, সুফিয়ানার স্পেশাল বিরিয়ানিও দেদার। দুধেল সরের প্রলেপ জড়ানো রমজানি শাহি টুকরাও বড় মধুর।

FacebookWhatsAppEmailShare

আরো দেখুন

রবিবারের মধ্যেই বঙ্গে ১০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয়বাহিনী, সব বুথে হবে ওয়েবকাস্টিং
FacebookWhatsAppEmailShare
আরও দেড় লক্ষ মানুষ বার্ধক্য ভাতার আওতায়, রাজ্যের খরচ ১২৬ কোটি
FacebookWhatsAppEmailShare
আর জি কর আন্দোলনের ‘প্রতিবাদী’ মুখ ডাঃ অভিজিৎ চৌধুরী সারদার টাকা নিয়েছিলেন?
FacebookWhatsAppEmailShare