বাংলা বিভাগে ফিরে যান

৯৯ শতাংশ দাবি মেনে নিয়েছি, এবার কাজে ফিরুন : মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

সেপ্টেম্বর 17, 2024 | 2 min read

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কালীঘাটের বাড়িতে প্রায় ঘণ্টাদুয়েক বৈঠক করলেন আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকরা। ছিলেন জুনিয়র চিকিৎসকদের ৪০ জনের প্রতিনিধিদল। বৈঠক শেষ হওয়ার পর সাংবাদিকদের যা বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় :

প্রায় ৬টা থেকে ১২টা পর্যন্ত বৈঠক হয়েছে। ওঁদের পক্ষ থেকে ৪২ জন সই করেছেন। সরকারের পক্ষ থেকে মিনিটসে্ সই করেছেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। আমরা অভিনন্দন জানিয়েছি চিকিৎসকেরা এসেছেন বলে। আমরা খুশি, তাঁরাও খুশি। ওঁরা বক্তব্য রাখতে চেয়েছিলেন। সেই সুযোগ দিয়েছি। আমরাও আমাদের বক্তব্য রেখেছি।

সিবিআই যে মামলার তদন্ত করছে, মৃত চিকিৎসকের উদ্দেশে আমার শ্রদ্ধা জানিয়ে আমি বৈঠক শুরু করেছি। ওঁদের চারটে দাবি ছিল। প্রথমে ছিল তিন জনকে সরানোর। স্বাস্থ্য অধিকর্তা, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তা এবং প্রিন্সিপাল সেক্রেটারিকে সরানোর কথা বলা হয়েছিল। আমরা বোঝালাম, যদি একটা বাড়ি যদি পুরো খালি করে দেওয়া হয়, তাহলে প্রশাসনটা চালাবে কে? শেষ পর্যন্ত ডিএইচএস এবং ডিএমএসকে সরানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সরানো হচ্ছে সিপি-কে।

আমরা কাউকে অশ্রদ্ধা, অসম্মান করিনি। কিন্তু ওঁদের বিরুদ্ধে যেহেতু চিকিৎসকদের ক্ষোভ আছে, বলেছে ওঁদের উপর আস্থা নেই, তাই আমরা সরানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা নিজেদের মধ্যে কথা বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আগামিকাল বিকেল ৪টের পর সিপি পদে বদল আনব। নতুন সিপি-কে দায়িত্বভার বিনীত দেবে। যত ক্ষণ না আদালতে মামলার শুনানি হচ্ছে, তত ক্ষণ এই রদবদল হবে না। পুলিশে আরও কিছু রদবদল হবে। সেটা মুখ্যসচিব বিকেলের পর ৪টের পর জানিয়ে দেবেন নোটিস দিয়ে।

সব কথা মিনিটসে্ লেখা যায় না। গোয়েল হয়তো সিপি থাকছেন না। নতুন সিপি আসবেন। চারটের মধ্যে তিনটে পয়েন্ট মেনে নিয়েছি। চতুর্থত, ওই দিন সিপি পৌঁছনোর আগে ডিসি (নর্থ) পৌঁছেছিলেন, তাঁকে নিয়ে কথা বলা হয়েছিল। এ ছাড়া স্বাস্থ্যক্ষেত্রে চিকিৎসকদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা হয়েছে। এ টুকু বলছি, আলোচনা সদ্‌র্থক হয়েছে। আমি তা-ই মনে করি। ওঁরাও নিশ্চয়ই তাই মনে করেন। না-হলে মিনিটসে্ সই করবেন কেন? ওঁদের দাবিদাওয়াই বেশি মেনে নেওয়া হয়েছে। আমি বলেছি, আমার আবেদন। বলেছি, তোমরা কাজে যোগদান করো। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এই অবস্থায় জুনিয়র ডাক্তারদের কাজে ফেরার কথা বলেছি।

আপনারা প্লিজ় কাজে ফিরুন। বলেছি জুনিয়র ডাক্তারদের। বলেছি, আপনাদের তিনটে দাবি মেনে নিয়েছি। দায়বদ্ধতা দুই পক্ষেরই। অনেক মানুষ মারা যাচ্ছেন। মানুষের কাছে ডাক্তার ভগবান। তাই আপনারা কাজে ফিরুন।

৯৯ শতাংশ দাবি মেনে নিয়েছি। আর কী করব! জুনিয়র ডাক্তারদের কাজে ফিরতে আবেদন করেছি। বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বিভিন্ন জায়গায়। ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গি হচ্ছে। এই অবস্থায় ওঁরা কাজে ফিরুন। আবেদন করেছি।

সিপি-র সঙ্গেও কথা হয়েছে। ওঁর নামে অনেক কথা বলা হয়েছে। উনি নিজেই বলেছেন, ‘আমারও পরিবার আছে। আমার পরিবার চাইছে। তাই এই পোস্ট ছাড়ছি। মুখ্যসচিবের সঙ্গে কথা হয়েছে। ওঁরা তিন অফিসারকে সরানোর দাবি করেছিলেন। আমরা দুটো মেনেছি। এর চেয়ে বেশি আর কী করতে পারি।

বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে কোনও কথা বলব না। আমার বিনীত আবেদন জুনিয়র ডাক্তারদের কাছে, আমরা আপনাদের তিনটি দাবি মেনে নিয়েছি। সাধারণ মানুষের ভুক্তভোগী হওয়া সমীচীন নয়। এখন ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়া হচ্ছে। বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে কোথাও কোথাও। আগামী দু’-তিন দিন গুরুত্বপূর্ণ। ঝাড়খণ্ড থেকে জল ছাড়ার পর সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। সরকারের তরফে নজর রাখা হচ্ছে।

FacebookWhatsAppEmailShare

আরো দেখুন

কোচবিহারে নররক্তেই পুজো হয় বড়দেবীর
FacebookWhatsAppEmailShare
উৎসবের আবহে ফের করোনা-আতঙ্ক
FacebookWhatsAppEmailShare
বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে বাড়ছে উদ্বেগ
FacebookWhatsAppEmailShare